২০১৫ সালে ইংল্যান্ড আর ওয়েলস-এ আরোপ করা রিভেঞ্জ পর্ন আইনে ২০০ জনেরও বেশি বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন, নারীবিরোধী অপরাধের উপর করা ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস (সিপিএস)-এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
Published : 07 Sep 2016, 07:28 PM
পাবলিক প্রসিকিউশনস-এর পরিচালক এলিসন স্যান্ডার্স জানান, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে করা অপরাধগুলোর ধারায় এই মামলাগুলো একটি অংশ ছিল। এই অপরাধের শিকারদের ইন্টারনেটের মাধ্যমে হুমকি দেওয়ার প্রবণতাও বাড়ছিল বলে জানান তিনি।
রিভেজ পর্ন বলতে কারও উপর প্রতিশোধ নিতে তার কোনো যৌন স্পর্শকাতর ভিডিও ধারণ করে তা তার অনুমতি ছাড়াই বানানো পর্ন-কে বোঝায়।
সিপিএস-এর ২০১৫ থেকে ২০১৬ সালের মার্চের শেষ পর্যন্ত মোট মামলাগুলোর ১৮.৬ শতাংশই তৈরি হয়েছে পারিবারিক নির্যাতন আর যৌন অপরাধ থেকে, অংকটা শেষ ছয় বছর থেকে প্রায় ৯ শতাংশ বেশি। এ ক্ষেত্রে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার বেড়েছে ১৭ শতাংশ। ২০০৭ সাল থেকে সংস্থাটির বার্ষিক ভায়োলেন্স অ্যাগেইন্সট ওমেন অ্যান্ড গার্লস (ভিএডব্লিউজি)-এর প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে, এতে পুরুষ ও কিশোরদের উপর করা যৌন অপরাধ ও নির্যাতনের তথ্যও থাকে, জানিয়েছে বিবিসি।
অধিকাংশ সময়ই তথাকথিত রিভেঞ্জ পর্নগুলো প্রাক্তন সঙ্গীকে বিব্রত করতে তার যৌন ছবি ছেড়ে দেওয়ার মাধ্যমে বানানো।
২০১৫ সালে ইংল্যান্ড আর ওয়েলস-এ করা এক আইনে অনুমতি ছাড়া কারো ব্যক্তিগত যৌন স্পর্শকাতর ছবি বা ভিডিও ধারণ করে প্রকাশ করাকে অপরাধ ঘোষণা করা হয়। এই অপরাধে শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড নির্ধারণ করা হয়।
ওই প্রতিবেদনে জানা যায়, এই আইন চালু হওয়ার এক বছরের মধ্যে ব্যক্তিগত যৌন স্পর্শকাতর ছবি প্রকাশ করার দায়ে ২০৬ জন বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন।