চূড়ান্ত দলে নতুনের ছড়াছড়ি। অভিজ্ঞদের সংখ্যা বেশ কম। তবে নতুন-পুরাতন মিলিয়ে সাজানো দলটি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী গোলাম রব্বানী ছোটন। মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ফিরে পেতে আশাবাদী বাংলাদেশ কোচ।
Published : 06 Oct 2019, 05:56 PM
আগামী ৯ অক্টোবর ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে শুরু হবে বয়সভিত্তিক এই প্রতিযোগিতার তৃতীয় আসর। নতুন ১৪ ও পুরানো ৯ জনে গড়া দল নিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধারে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
২০১৭ সালে প্রথম আসরে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। পরের বছর ভারতের কাছেই মুকুট হারিয়েছিল দল।
ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল-দল চারটি বলে এবার গ্রুপিং নেই। রাউন্ড রবিন লিগ শেষে সেরা দুই দল মুখোমুখি হবে ১৫ অক্টোবরের ফাইনালে। উদ্বোধনী দিনে ভুটানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
সোমবার ভুটানের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে দল। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে রোববার সংবাদ সম্মেলনে লক্ষ্য নিয়ে ওঠা প্রশ্নের জবাবে শুরুতে রব্বানী ‘ফাইনালে ওঠার’ কথা বললেও পরে ঠিকই জানালেন চ্যাম্পিয়ন হতে চান।
“২০১৮ সালে ভুটানে দ্বিতীয়বারের মতো এ প্রতিযোগিতায় খেলতে যাই, সেবার রানার্সআপ হই। তখনই উপলব্ধি করি এই খেলোয়াড়রা পরেরবার থাকবে না। তখন থেকেই আমরা প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করি। এরপর দুটি জেএফএ টুর্নামেন্ট থেকে খেলোয়াড় সংগ্রহ করি।”
“মেয়েরা নিবিড় অনুশীলনের মধ্যে ছিল। প্রতিভা আছে। সবাই ভালো আছে। এখন আমরা মারিয়া-আঁখিদের নিয়ে কথা বলি। শুরুতে ওরাও এদের মতো ছিল। নার্সিং হলে এরাও ওদের মতো হবে। সবাই শক্তিশালী দল। প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট হবে। গত দুইবার ফাইনাল খেলেছি, আশা করি এবারও আমরা ফাইনাল খেলব ।”
“এই টুর্নামেন্ট আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। যদি আপনারা বিগত দিনে ফিরেন, ২০১৭ সালে, তখন মৌসুমীরা নতুন ছিল। এখন এরাও নতুন কিন্তু এরা অনেক দিন একসাথে অনুশীলনের মধ্যে আছে। কঠোর পরিশ্রম করেছে। দল নিয়ে আমি আশাবাদী। আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।”
অধিনায়ক শামসুন্নাহার জুনিয়র জানালেন নিজেদের সেরাটা দিয়ে শিরোপা নিয়ে দেশে ফেরার লক্ষ্য।
“এই টুর্নামেন্টে আমরা দুইবার খেলছি। প্রথমবার ঢাকায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। পরেরবার ভুটানে রানার্সআপ হয়েছি। দোয়া করবেন আমরা যেন ফাইনাল খেলতে পারি। আগেরবার ভালো খেলেও পারিনি। এবারও চেষ্টা করব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার।”
সহ-অধিনায়ক রুপনা চাকমাও সুর মেলালেন অধিনায়কের সঙ্গে, “ভুটান যাচ্ছি। সবাই দোয়া করবেন, আমরা যেন ভালো খেলতে পারি। চ্যাম্পিয়ন হতে পারি।”
বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ নতুনদের নিয়ে আশাবাদী। পাইপলাইনে খেলোয়াড়ের ঘাটতি নেই বলেও দাবি তার।
“দলে ৯ জন পুরাতন। বাকিরা নতুন। ট্যালেন্ট হান্টের মাধ্যমে তাদের নেওয়া হয়েছে। অনেকেই বলেন, আমাদের পাইপলাইনে খেলোয়াড় নেই। কিন্তু পাইপলাইনে যে খেলোয়াড় আছে, এ টুর্নামেন্ট সেটাই প্রমাণ করবে। আশা করি মেয়েরা ফাইনাল খেলবে।”