মহাকাশ থেকে একটি বস্তুখণ্ড পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে; যা আসলে কী, তা এখনও নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা।
Published : 27 Oct 2015, 09:19 PM
যুক্তরাজ্যের দৈনিক ইনডিপেনডেন্ট মহাকাশ গবেষকদের উদ্ধৃত করে বলেছে, আগামী ১৩ নভেম্বর সকালে পৃথিবীতে পড়বে এই বস্তুখণ্ড এবং তার সম্ভাব্য পতন স্থল শ্রীলঙ্কার ৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ভারত মহাসাগরে।
৭ ফুট দীর্ঘ এই বস্তুখণ্ডটির নাম দেওয়া হয়েছে ডাব্লিওটিএফ১১৯০এফ, সংক্ষেপে একে ডাব্লিওটিএফ বলা হচ্ছে।
এই বস্তুখণ্ডটি কী, তা এখনও স্পষ্ট না হলেও এটি যে মানবসৃষ্ট কোনো কিছুর অংশ বিশেষ, তা মোটামুটি নিশ্চিত বিজ্ঞানীরা।
তারা বলছেন, এটি সম্ভবত চন্দ্র অভিযানে যুক্ত কোনো কিছুর জঞ্জাল, অ্যাপোলো মিশনের কোনো জঞ্জালও হতে পারে।
ডাব্লিওটিএফের গতিপথ পর্যবেক্ষণ করছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) বিজ্ঞানীরা।
মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে পতনশীল যে কোনো বস্তখণ্ডের গতিপথ এবং তা পতনের ফলে পৃথিবীতে সৃষ্ট প্রভাব নিয়ে কাজ করেন এই গবেষকরা।
তারা বলছেন, ডাব্লিওটিএফকে বিপজ্জনক মনে করছেন না তারা। এর পতনের ফলে বিরূপ কোনো পরিস্থিতি তৈরি হবে বলেও তারা মনে করেন না।
তবে এই বস্তুখণ্ডটির পতন কীভাবে ঘটে, তা দেখা গবেষকদের জন্য একটি রোমাঞ্চকর বিষয় হবে, বলেছে ইএসএ।
ডাব্লিওটিএফ কীভাবে তৈরি হল এবং কী কারণেই এটি পৃথিবীরে পানে আসছে, পতনের পর সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার আশায় আছেন গবেষকরা।
ম্যাসাচুসেটসের কেমব্রিজের হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের গবেষক জোনাথন ম্যাকডাওয়েল ডেইলি মেইলকে বলেন, “মহাকাশ-ইতিহাসের হারানো একটি অংশ সম্ভবত ফিরে আসছে, আমাদের তাড়িয়ে বেড়াতে।”
জ্যোতির্বিদ বিল গ্রে বিজ্ঞান সাময়িকী ‘নেচার’কে বলেন, ডাব্লিওটিএফ ডিম্বাকার কক্ষপথে পৃথিবীর চারদিকে পরিভ্রমণ করছে। এর গতিপথ বিশ্লেষণে বোঝা যায়, এর মাঝের অংশটি ফাঁকা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি ডাব্লিওটিএফ পৃথিবীতে আসেই, তবে এটিই হবে মানবসৃষ্ট প্রথম বস্তু, যা মহাকাশ ঘুরে মানুষের ইচ্ছা ছাড়াই ফিরে আসছে।