‘ছাত্রলীগ পরিচয়ে’ ৪ যুবদল নেতাকে মারধরের অভিযোগ

ফেইসবু থেকে নেওয়া

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ‘ছাত্রলীগ পরিচয়ে’ যুবদলের স্থানীয় চার নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তবে হামলার বিষটি অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলামের অভিযোগ, শনিবার রাতে উপজেলার রূপসী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার নেতারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

তবে এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি বলে যুবদল ও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

মুড়াপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হোসেন ওরফে রকি, ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আল আমিন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি কামাল হোসেন এবং একই ওয়ার্ডের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফরহাদ হোসেন আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান।

ওবায়দুল হোসেন বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে করে রূপসী থেকে মুড়াপাড়া ফিরছিলেন তারা। পথে আফতাব ফিড প্রোডাক্টস কারখানার পাশে সড়কে তাদের ইজিবাইকটি থামায় তিনটি মোটরসাইকেলে আসা কয়েকজন তরুণ।

“পরে তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় তারা। এ সময় তাদের রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাওয়া হয়।

“বিএনপির সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা জানালে তাদের মারধর শুরু করে ওই তরুণরা। পরে তাদের সঙ্গে আরও ২০-২৫ জন যোগ দেয়।”

ওবায়দুল আরও বলেন, “আমি যুবদল করি–এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে তাদের একজন নিজেদের ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয় দিয়ে মারধর শুরু করেন। তারা বলতে থাকেন, ‘তোরা এখনও বিএনপি করস কোন সাহসে?’

“এক পর্যায়ে তারা আমাদের উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানজীর আহমেদ রিয়াজের কার্যালয়ে নিয়ে যেতে চান। না যেতে চাইলে তারা ফের মারধর শুরু করেন। রক্তে আমার শার্ট ভিজে গেলে তারা চলে যান।”

হামলাকারীদের কাউকে চিনতে না পারলেও তাদের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে বলে ওবায়দুল জানান।

হামলার ঘটনায় আমাদের কেউ সম্পৃক্ত নয় দাবি করে উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানজীর আহমেদ রিয়াজ বলেন, “আমার কোনো কর্মী এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।”

এ দিকে এই হামলার জন্য ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে দায়ী করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি ও যুবদল।

এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গিয়ে পুলিশি হয়রানির অভিযোগ করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম ফারুক খোকন।

এ বিষয়ে জানতে রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

তবে পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন, এমন হামলার ব্যাপারে তাদের কেউ জানায়নি। কেউ অভিযোগ করলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।