যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে দুই তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
Published : 25 May 2022, 07:29 PM
নদীর ডানতীরে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া বাঁধ এবং শাহজাদপুর উপজেলার তিন ইউনিয়ন এবং বামতীরের চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করলেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে এখনও কেউ দাঁড়ায়নি। তারা শঙ্কার মধ্যে দিন পার করছেন।
স্থানীয়রা জানান, গত ৭ দিনে শাহজাদপুর উপজেলার খুকনী ইউনিয়নের আরকান্দি ও ঘাটাবাড়ি, জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর, পাকুরতলা ও ভেকা এবং কৈজুরী ইউনিয়নের হাটপাচিল ও শরীফ মোড় এলাকায় ভঙনে অন্তত ৫০টি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
কৈজুরি ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন খোকন বলেন, “পাচিল এলাকায় যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ কাজে গাফিলতির কারণে এ বছর গ্রামের মানুষ নদী ভাঙনের কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়েছে।”
ঠিকাদাররা সময়মতো বস্তা ফেললে এ ক্ষতি হতো না বলে তিনি মনে করেন।
বাঘুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম মোল্লা বলেন, যমুনা নদীর বাম তীরে সিরাজগঞ্জের সীমান্তবর্তী চৌহালী উপজেলার সর্বদক্ষিণে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের চরসলিমাবাদ, চরবিন্নানই ও ভূতেরবাড়ি এলাকায় সারা বছরই নদীভাঙন ছিল। আগে অন্তত দেড় শতাধিক বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। সম্প্রতি ভাঙনে বিলীন হয়েছে আরও দেড় শতাধিক বসতবাড়ি। দুটি স্থানের ভাঙন নিয়ন্ত্রণে আসলেও ভূতেরবাড়ি এলাকায় এখনও তীব্র ভাঙন চলছে।
কাজিপুর উপজেলার যমুনা নদীর চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়া রক্ষা বাঁধেও ভাঙন দেখা দেওয়ায় সেখানে সংস্কার কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ইতোমধ্যে ওই বাঁধে থাকা বেশ কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, “নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। ভাঙনের স্থানগুলোতে সংস্কার কাজ চলছে। আশা করছি আগামী ৫/৭ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে।”