করোনাভাইরাস চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) একটি দল তৈরি করেছে ‘দুর্বার কাণ্ডারি ইমার্জেন্সি ভেন্টিলেটর’।
Published : 14 Jul 2020, 09:55 PM
মঙ্গলবার রুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের হল রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মাসুদ রানার তত্ত্বাবধানে একদল শিক্ষার্থী এই যন্ত্র তৈরিতে কাজ করেন বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।
দলের তত্ত্ববধায়ক ও প্রকল্প পরিচালক মাসুদ রানা বলেন, এ ভেন্টিলেটর অত্যন্ত কম খরচে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। এটি পরিচালনা করা অত্যন্ত সহজ ও নিরাপদ। এই ভেন্টিলেটরটি যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় এমআইটি কর্তৃক করোনাকালে প্রস্তুতকৃত ইমার্জেন্সি ভেন্টিলেটরের মডেল অনুসরণ করে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে প্রস্তুত করা হয়েছে।
দুর্বার কাণ্ডারি দলের শিক্ষার্থীরা বলেন, এই ভেন্টিলেটর তৈরিতে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কেনার জন্য প্রায় ৩৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এটি তৈরিতে আদর্শ ভেন্টিলেটরের মান অনুসরণ করা হয়েছে।
তবে ভেন্টিলেটরটিকে ‘অ্যাডভান্সড লেভেলে’ নিতে আরও কিছু কাজ করতে হবে বলে তারা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সেখ।
তিনি বলেন, “দুর্বার কাণ্ডারি ইমার্জেন্সি ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভেন্টিলেটর সংকট সমস্যার সমাধান হবে-এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
সংবাদ সম্মেলনে রুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ড. মিয়া মো. জগলুল সাদত, পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেন, ইসিই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. শামীম আনোয়ার, উপপরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) মামুনুর রশীদ ও আবু সাঈদ, রুয়েটের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. মকসেদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও দুর্বার কাণ্ডারি দলের সদস্য ইইই বিভাগের রাফিউল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, এমটিই বিভাগের ওয়াসিফ আহমেদ, এমই বিভাগের রাফি রহমান, রফি উদ্দিন ও সিএসই-এর মাশরুর সাকিব উপস্থিত ছিলেন।