গাইবান্ধায় গরু চুরির অপবাদ দিয়ে এক স্কুলছাত্রকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মারধরের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
Published : 13 Jan 2020, 02:29 PM
মারধরের শিকার ওই কিশোরের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় ১৪ জনকে আসামি করে রোববার রাতে মামলা দায়ের করলে রাতেই দুইজনকে আটক করে বলে পুলিশ জানায়।
আটকরা হলেন, উত্তর ধুমাইটারী গ্রামের মৃত. আব্বাস আলী ছেলে আইজল মিয়া (৫০) ও একই গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে রানা মিয়া।
এ ঘটনায় নির্যাতিত রাফিকুল ইসলাম উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের উত্তর ধুমাইটারী গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে ও ধুমাইটারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশরাফুজ্জামান বলেন, রাফিকুলকে গত শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তার পরিবারের লোকজন এখানে ভর্তি করান।
“তার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় নির্যাতনের একাধিক চিহ্ন আছে। এখন সে অনেকটা সুস্থ।”
দহবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুল জানান, গত শুক্রবার রাতে ওই গ্রামের নজরুল ইসলাম নজু মিয়ার ‘একটি গরু চুরি হয়।’
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল্লাহিল জামান জানান, নজরুল ইসলাম নজু মিয়ার কাছে তার ভাতিজি জামাই আব্দুর রহিম টাকা পেত। এ কারণে তিনি গত শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে নজু মিয়ার উপস্থিতিতে তার গোয়াল থেকে একটি গরু নিয়ে যান।
“তারপর মিথ্যা চুরির অভিযোগ তুলে এই কিশোরকে মারপিট করা হয়।”
রাফিকুলের সাথে আব্দুর রহিম মিয়ার কোন সম্পর্ক নাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সন্দেহবশত এই কিশোরকে মারপিট করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে পুলিশ মুল ঘটনা উদ্ধারে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।
এ ঘটনায় রোববার রাতে দুইজনকে আটক করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্যদের আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
নির্যাতিত কিশোর রাফিকুলের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার রাতে কয়েকজন প্রতিবেশী গরু চুরির মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করে রাফিকুল ইসলামকে তার শোবার ঘর থেকে তিন যুবক ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করে।
মোবাইলে ধারণ করা নির্যাতনের ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর রোববার রাতে তিনি থানা পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান।