যশোরে ছাত্রলীগের দুই নেতার মাটি কেনাবেচার ব্যবসার বিরোধের কোন্দলে এক যুবক খুন হয়েছে। তবে এতে জড়িত থাকা সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করলেও পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
Published : 10 Dec 2019, 12:16 PM
সোমবার গভীর রাতে সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের গ্রামের মাস্টারপাড়ায় ব্যবসায়িক কোন্দল নিয়ে এই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জিএম সবুজ হাসান ও বর্তমান সভাপতি শাহিন হাসানের পক্ষের মধ্যে সমঝোতা বৈঠককালে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
নিহত জনি (২৮) ঘটনাস্থলের পাশে মণিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের তাড়ুয়াপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি ছাত্রলীগ নেতা সবুজের পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।
যশোর কোতয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, মাস্টারপাড়ায় দুই দল যুবকের কোন্দলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে একজন খুন হয়েছে।
“মাটি কেনা নিয়ে দুই পক্ষের কোন্দলে এ ঘটনা ঘটেছে।”
তবে ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল উদ্ধারের এবং জড়িত সন্দেহে কয়েকজন আটকের কথা জানালেও তাদের নাম জানাননি ওসি।
সম্প্রতি নরেন্দ্রপুরের হাসিবের জমির মাটি কিনতে চান দুইজনই। এ নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হলে সোমবার সন্ধ্যার পর নরেন্দ্রপুর মাস্টারপাড়ায় দুই পক্ষ সমঝোতা বৈঠকে বসে বলে জানান তারা।
সেখানে শাহিন মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও ট্রেকারে করে ২০/২২ জনকে নিয়ে আসেন।‘ বৈঠকে সবুজের পক্ষে ছিলেন জনি।’
‘বৈঠক চলাকালে শাহিনের পক্ষের কয়েকজন জনিকে ডেকে পাশে নিয়ে বুকে ছুরিকাঘাত করে।’ ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয় বলে জানান তারা।
এ সময় গ্রামবাসী ধাওয়া করলে লোকজনসহ শাহিন পালিয়ে যায়। তবে শাহিনের একটি পায়ে সমস্যা থাকায় তাৎক্ষণিক তার মোটরসাইকেল নিতে না পেরে অন্য বাহনে করে তিনি পালান বলে জানিয়েছেন তারা।
খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তার মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।
এদিকে আটকদের পরিচয় পুলিশ না জানালেও নরেন্দ্রপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফা জানান, রাতে পুলিশ তার ছেলে রাসেল ও সবুজ হাসানকে বাড়ি থেকে নিয়ে গেছে।
ভোররাত ৩টার দিকে জনির মরদেহ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে মর্গে পাঠায় পুলিশ।