জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন; এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত নয়জন।
Published : 31 Aug 2019, 01:22 PM
কালাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মালেক জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কালাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন ও আওয়ামী লীগ নেতা মাত্রায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হাবিব তালুকদার লজিকের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
নিহত সামছুদ্দিন উপজেলার কুসুমসারা গ্রামের মছির উদ্দিনের ছেলে।
আহতদের জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা করা হয়েছে।
পরিদর্শক মালেক বলেন, “শুক্রবার সন্ধ্যার আগে মিলনের সমর্থকরা কুসুমসারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ ঘেরার জন্য বেড়া দিচ্ছিলেন। এতে লজিকের সমর্থকরা বাধা দিলে সংঘর্ষ হয়।
“সংঘর্ষে আহত হন কমপক্ষে ১০ জন। তাদের জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতের মধ্যে সামছুদ্দিনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে তিনি মারা যান।”
তবে কেন তারা বেড়া দিচ্ছিল বা কেন অপর পক্ষ বাধা দিল সে বিষয়ে পুলিশ কিছু বলতে পারেনি।
এলাকাবসী জানান, এই দুই পক্ষের মধ্যে এলাকায় আধিপত্র বিস্তার নিয়ে বিরোধ রয়েছে।
তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েকজন জানিয়েছেন, স্কুলমাঠে এলাকাবাসী ধান মাড়ানো-শুকানোর কাজ করে। এতে শিশুরা সমস্যায় পড়ে, পড়ালোখায় ক্ষতি হয়। এ কারণে বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এখানে আগেও বেড়া ছিল। তা নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু বেড়া দিলে ধান মাড়াতে-শুকাতে সমস্যা হবে বলে কিছু লোক বাধা দেয়।
পরিদর্শক মালেক বলেন, পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে দেখছে। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করলেও পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।