বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় যমুনা নদীতে নৌকা ডুবে দুই নারী নিহত ও শিশুসহ পাঁচজন নিখোঁজ হয়েছেন।
Published : 13 Aug 2019, 06:10 PM
সারিয়াকান্দি থানার এসআই সুব্রত কুমার ঘোষ জানান, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাকুরিয়ার চর ও বাটিয়ার চরের মাঝামাঝি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন সারিয়াকান্দির চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের মানিকদাইড় গ্রামের মনসের আলীর স্ত্রী আমেনা বেগম (৫৮) ও জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার কয়লাকান্দি গ্রামের ইউুসুফ আলীর স্ত্রী জোহরা বেগম (৩০)।
নিখোঁজ রয়েছেন জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার পাকরল গ্রামের জওহর আলী ও তার সাত বছরের মেয়ে সুরমা, একই উপজেলার চর পাকেরদহ গ্রামের জাহেদুল, তার দুই মাস বয়সী শিশু এবং বগুড়ার সারিয়াকান্দির মানিকদাইড় গ্রামের রেজউল ইসলামের স্ত্রী কাজলী বেগম।
ফায়ার সার্ভিস নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে রাজশাহী থেকে ডুবুরি রওয়ানা হয়েছে বলে এসআই সুব্রত জানান।
সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী জানান, শতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা সকাল ১১টার দিকে মানিকদাইড় ঘাট থেকে সারিয়াকান্দি উপজেলা সদরের কালিতলা ঘাটের দিকে রওনা হয়। ঈদ উপলক্ষে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি বেড়ানোর উদ্দেশ্যেই তারা নৌকায় উঠেছিলেন।
তিনি বলেন, প্রায় আধঘণ্টা পর নৌকাটি পাকুরিয়ার চর এবং বাটিয়ার চরের মাঝামাঝি এলাকায় পৌঁছলে তলা ভেঙ্গে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যে নৌকাটি ডুবে যায়।
“তীব্র স্রোতের মধ্যেও অনেক যাত্রী সাঁতরে নিকটবর্তী তীরে উঠতে সক্ষম হন। তবে দুই নারীসহ সাতজন আর ফিরতে পারেননি। পরে দুই নারীর লাশ নদীতে ভেসে ওঠে।”
আরও পাঁচজনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তীব্র স্রোতে তারা ভেসে গেছে, বলেন শওকত।
সারিয়াকান্দি থানার এসআই সুব্রত কুমার ঘোষ জানান, নিখোঁজদের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়েছে।
সারিয়াকান্দি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আল-আমিন জানান, বর্তমানে স্থানীয় নৌকার মাঝিদের মাধ্যমে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান চালানো হচ্ছে। তাছাড়া রাজশাহী ও রংপুর থেকে ডুবুরি চাওয়া হয়েছে তারা এরই মধ্যে রওনা হয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস বগুড়ার সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, তাদের দুটি টিম কাজ করছে।
নিহত আমেনা বেগম ও জোহরা বেগমের লাশ সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।