নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় একদল হামলাকারী এক ব্যক্তিকে হাত-পা কেটে হত্যা করেছে, যিনি একটি হত্যা মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে যাচ্ছিলেন।
Published : 13 Jun 2019, 05:59 PM
বৃহস্পতিবার সাবগাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে গুরুদাসপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম জানিয়েছেন।
নিহত জালাল মন্ডল (৫৫) একই উপজেলার যোগেন্দ্রনগর গ্রামের আমজাদ হোসেন ওরফে আনন্দ মন্ডলেল ছেলে এবং সাবেক সচিব আব্দুল জব্বারের ঢাকার বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন।
মৃত্যুর আগে জালাল হামলাকারীদের নাম বললেও পুলিশ তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করেনি।
নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, জালাল মন্ডল দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় থাকতেন। বুধবার তিনি গ্রামের বাড়ি এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তিনি আদালতে বিচারাধীন একটি হত্যা মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য নাটোর শহরে যাচ্ছিলেন।
“পথে যোগেন্দ্রনগর বাঁধের কাছে পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা তাকে মাটিতে ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ডান হাত কুনই থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। আর বাম হাত কেটে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন না হলেও একটুতে ঝুলতে থাকে। দুই পায়ের রগও কেটে ফেলা হয়।”
ওসি বলেন, স্থানীয়রা উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে ভর্তির পরপরই সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ওসি বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার সময় জালাল চিৎকার করে হামলাকারীদের নাম বলেছেন। তবে তদন্ত ও গ্রেপ্তারের স্বার্থে নাম প্রকাশ করা উচিত হবে না।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজশাহী মেডিকেলে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ নিহতের কেটে নিয়ে যাওয়া হাত উদ্ধার ও ঘাতকদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু করেছে বলে ওসি জানান।
স্থানীয় বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও নিহত জালাল মন্ডলের আত্মীয় আবু ইউনুস বলেন, প্রায় ২০ বছর ধরে স্থানীয় একটি পক্ষদের সঙ্গে জালাল মন্ডলের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে একাধিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে এবং এ ব্যাপারে মামলা চলমান আছে।
“এমন একটি হত্যা মামলার আসামি জালাল মন্ডল। ওই মামলায় হাজিরা দিতে তিনি নাটোর শহরে যাচ্ছিলেন।”
আবু ইউনুস আরও জানান, এলাকার বিরোধ থেকে বাঁচতে জালাল মন্ডল দীর্ঘদিন ধরে সাবেক সচিব আব্দুল জববারের বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে ঢাকায় থাকতেন। তিনি তার দূর সম্পর্কের আত্মীয়।