নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় আগুনে এক পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছে।
Published : 09 Apr 2019, 06:47 PM
জেলার পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন জানান, উপজেলার লোচনপুরা গ্রামের শামসু মিয়ার বাড়িতে মঙ্গলবার ভোরে আগুন লাগার খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আগুনে শামসুর বোন খাতুনের নেছা (৬০), মেয়ে মুক্তা মণি (১৬), শ্রুতি মণি (১৩) ও কচি মণি (১১) আহত হয়েছে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শামসু মিয়ার আত্মীয়-স্বজনের বরাতে পুলিশ সুপার বলেন, “প্রথমে তারা রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। পরে ঢাকা যান। তারা অল্প দগ্ধ হয়েছেন বলে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।“
আত্মীয়-স্বজনের বরাতে পুলিশ সুপার আরও বলেন, “শামসুর ছেলে বিপ্লব তার আত্মীয়-স্বজনকে বলেছেন পূর্বশত্রুতার জেরে তাদের পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এমন তথ্য পাওয়া যায়নি।”
সকালে পুলিশ গিয়ে ওই বাড়িতে কাউকে পায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, “এই বাড়িটিতে মাস দুই আগে কিছু লোকজন আগুন দিয়েছিল গ্রামের দুলাল গাজী (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
“আজ ওই বাড়িটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এমনটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রতিবেশীরাও কেউ সকালে আগুন দেখেনি। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ফিরে গেছে।”
গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুলাল হত্যার ঘটনায় শামসু মিয়ার পরিবারের অনেকে আসামি। সেই থেকে পরিবারটি বাড়ির বাইরে পালিয়ে ছিল বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
পুলিস সুপার প্রাথমিক তদন্তের তথ্য দিয়ে বলেন, “সোমবার বিকালে পরিবারটি বাড়ি ফেরে। আর মঙ্গলবার সকালে তাদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।”
বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় রবিন ও মামুন নামে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এছাড়া ওই বাড়ি থেকে একটি স্পিরিট ভর্তি প্লাস্টিকের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, “শামসু মিয়ার ছেলে বিপ্লব তিনটি হত্যা মামলার আসামি। সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানতাম। মঙ্গলবার সকালে কিভাবে তার বাড়িতে অগ্নিদগ্ধের ঘটনা ঘটল তা জানতে পারিনি।”