প্রায় এক যুগ পর মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন বসছে শনিবার।
Published : 24 Oct 2017, 04:48 PM
এ জেলায় দলের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০০৬ সালের ২৭ জুলাই। ইতিমধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।
দলটির নেতাকর্মীদের মুখে সভাপতি পদে যাদের নাম আলোচিত হচ্ছে তারা হলেন- বর্তমান কমিটির সভাপতি আব্দুস শহীদ, সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদ, সহ-সভাপতি মো. ফিরোজ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য রফিকুর রহমান, জাতীয় সংসদের হুইপ শাহাব উদ্দিন আহমদ, মুহিবুর রহমান তরফদার ও সৈয়দ বজলুল করিম।
সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক মো. মসুদ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হোসেন, মৌলভীবাজার পৌরমেয়র মো. ফজলুর রহমান, এ এস এম আজাদুর রহমান, মো. মিছবাউর রহমান, এম এ রহিম (সিআইপি), আব্দুল মালিক তরফদার সুয়েব ও ভিপি আব্দুল মতিনের নাম।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমেদ বলেন, এই মুহূর্তে তিনি সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
“হাই কমান্ডের সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত। হাই কমান্ড যে কমিটি ঘোষণা করবে তাতে আমি থাকি বা না থাকি এর প্রতি আমার সমর্থন থাকবে।”
ওই দিন সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আসবেন বলে আশা করছেন তিনি।
সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান বাবুল বলেন, “জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে এবং দক্ষ সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড উপহার দিতেই আমি প্রার্থী হয়েছি।
“তবে কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত। আমাকে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত করলে আমি অতীতে যেভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সৈনিক হয়ে জীবনের প্রতিটি সময় মানুষের জন্য ব্যয় করেছি, সে ধারা অব্যাহত রেখে ভবিষতেও কাজ করে যাব।”
ছাত্রলীগ, যুবলীগ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে জীবনের ৮০ শতাংশ সময়ই তিনি রাজনীতির পেছনে ব্যয় করেছেন বলে দাবি করেন।
অপর সাধারণ সম্পাদক পদপার্থী মো. কামাল হোসেন, মসুদ আহমদ ও ফজলুর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তই তাদের সিদ্ধান্ত।
মসুদ আহমদ বলেন, “আমরা সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের থাকবেন বলে সম্মতি দিয়েছেন।”