দিনে প্রচণ্ড গরম, রাতে শীত। সন্ধ্যা নামলেই বইতে শুরু করে হিমেল হাওয়া। রাতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে ঠাণ্ডা। সবুজ ঘাস ও গাছের পাতায় জমছে শিশির কণা।
Published : 06 Oct 2017, 07:41 PM
এবার শরৎকালেই শীত সঙ্গী হয়েছে ঠাকুরগাঁওবাসীদের। উত্তরের এ জেলায় গত কয়েকদিন ধরে রাত ১২টা থেকে সকাল প্রায় ৭টা পর্যন্ত এমন চিত্র দেখা গেছে।
ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে শীতের মৌসুম শুরু হয়, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তা চলে।
জেলা শহরের মাস্টারপাড়ার রায়হান কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দিনে প্রচণ্ড রোদের তাপ। সন্ধ্যা থেকে বইতে শুরু করে ঠাণ্ডা হওয়া। রাত ১২টার দিকে থেকে তা আরও বেড়ে যায়।
শুক্রবার ভোরে শহরের বাসস্ট্যান্ডে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে রিকশাচালক সিরাজুল ইসলামের কথা হয়।
তিনি বলেন, এবার একটু আগেই শীত নামতে শুরু করেছে। অন্য বছরের চেয়ে এবার আগে শীত এসেছে, মনে হচ্ছে শীতের তীব্রতা অনেক বেশি হবে।
“কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যা থেকে ঠাণ্ডা বাতাসের দেখা মিলছে। রাস্তায় রিকশা চালিয়ে করে খেতে হয়, তাই সঙ্গে গরম কাপড় রেখেছি।”
শহরের কলেজপাড়া আজহারুল ইসলাম বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এবার ঠাকুরগাঁওয়ে আগে ভাগেই শীত পড়ছে। তাই এখনই শীত মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তিনি।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার লেপ-তোষকের দোকানে লোকজনের ভিড় দেখা গেছে।
তিনি বলেন, “এবার একটি লেপ বানাতে ১৪শ থেকে ১৫শ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। সারাদিনে ২০-৩৫টা লেপ সরবরাহ করা হয়েছে।”
শহরের ফুটপাতের দোকানগুলোতে শীতের কাপড়ের পসরা দেখা গেছে। বিক্রিও ‘মোটামুটি’ হচ্ছে বলে জানান বেশ কয়েকজন দোকানি।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আওয়াল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অন্য জেলার চেয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের তীব্রতা বেশি হয়ে থাকে। শীত মোকাবেলার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।