ময়মনসিংহ সদরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে ‘হত্যা করার ভয় দেখিয়ে’ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই সন্তানের জনক এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।
Published : 24 Sep 2017, 03:31 PM
সন্তানসম্ভবা এই মেয়েটি (২০) নিজে এবং তার বাবা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে কথা বললেও এখনও থানায় কোনো অভিযোগ দেননি।
আব্দুল কাদির (৩০) নামের ওই যুবক সদর উপজেলার চরনিলক্ষীয়া ইউনিয়নের চড় কান্দাপাড়া গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, “চড় কান্দাপাড়ার আব্দুল কাদির প্রতিবেশী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে শুনেছি। বর্তমানে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা।
“তবে ওই পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মেয়েটি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রায় চার মাস আগে একদিন রাত ৯টার দিকে কাদির তাদের বাড়ি গিয়ে ঘরে ঢোকে। তখন মেয়েটির মা অন্য বাড়িতে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন।
তখন কাদির তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে বাড়ির পেছনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে মেয়েটির ভাষ্য।
তরুনীর মা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ধর্ষণের ঘটনাটি চার মাস আগে ঘটলেও তারা জানতে পারেন ১৫ দিন আগে।
ডাক্তার পরীক্ষা করে মেয়ে সন্তানসম্ভবা বলে জানিয়েছেন বলে তার মা জানান।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এলাকায় সালিশ ডাকা হয়। সালিশে আব্দুল কাদির ধর্ষণের কথা স্বীকার করে মেয়েটিকে বিয়ে করতে রাজি হয়। বিয়ের কথা চূড়ান্ত হলেও সালিশে থাকা গণ্যমান্যদের কাছ থেকে দুদিন সময় নেয় ছেলেপক্ষের লোকজন। কিন্তু ওই রাতেই কাদির এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
কাদিরের বাবা হোসেন আলী বলেন, “কাদিরের বউ ও দুই সন্তান রয়েছে। আবার আরেক মেয়ের সাথে এ ধরনের ঘটনা করছে। আমি কী করতাম বাবা। আমার কথা পুলাপানে হুনে না। এক বছর ধরে আমারে কুনো টাকা পয়সা দেয় না। কুনো খাবারও দেয় না।”
তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনা শুনে ছেলের বউটা তার দুই সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি চলে গেছে। আমিও ঘটনা শুনার পরে গ্রামের মাতব্বরদের কাছে বিচারের ভার দিয়েছিলাম। তারাই বিয়ের কথা সালিশে বলছে। কিন্তু ছেলে পালিয়ে যাওয়ার পরে আমার কী করার আছে।”