‘চাঁদা না দেওয়ায়’ শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় এক পল্লী চিকিৎসককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
Published : 13 Jul 2017, 07:02 PM
নিলগুন গ্রামে বুধবারর রাতে এ হামলা হয় বলে ওই গ্রামের বাসিন্দা পল্লী চিকিৎসক গোবিন্দ চন্দ্র দাস ও এলাকার লোকজন জানান।
এ ঘটনায় গোবিন্দ চন্দ্র দাস নড়িয়া থানায় অভিযোগ দেওয়ার কথা বললেও পুলিশ অভিযোগ পায়নি বলে দাবি করছে।
গোবিন্দ দাসের স্ত্রী রিপা রানী দাস বলেন, তার স্বামী গোবিন্দ দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় কাঞ্চনপাড়া বাজারে ওষুধের ব্যবসা এবং পল্লী চিকিৎসক হিসেবে কাজ করে আসছেন।
“স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী একই গ্রামের মৃত হামেদ বেপারীর ছেলে আবু কালাম বেপারী নানা অজুহাতে বিভিন্ন সময় গোবিন্দর কাছ থেকে একাধিকবার চাঁদা নিয়েছেন।”
রিপা বলেন, বুধবার সকালে ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার গ্রামের চুন্নু মিয়ার ভেকু মেশিন দিয়ে গোবিন্দ বাড়িতে মাটি কাটার কাজ করিয়েছেন। মাটিকাটা শেষে বিকালে মেশিনম্যান চুন্নু বাড়ি ফেরার পথে আবু কালাম বেপারী গতিরোধ করে এবং চাঁদা দিতে আসার জন্য গোবিন্দকে খবর দিতে বলে।
খবর পেয়ে গোবিন্দ ঘটনাস্থলে যান গেলে আবু কালাম বেপারীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় গোবিন্দ মোবাইল ফোনে মহিষার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নুরুল ইসলাম সরদারকে খবর দিলে তিনি সেখানে হাজির হয়। তখন চাঁদা না নিয়ে আবু কালাম চলে যায় বলে জানান রিপা।
রিপা বলেন, ওইদিন রাতে গোবিন্দ কাঞ্চনপাড়া বাজার থেকে রিকশায় বাড়ি ফেরার পথে আবুল বাশার বেপারীর করাতকলের কাছে এলে আবু কালাম গতিরোধ করে এবং লাঠি দিয়ে গোবিন্দ দাসকে এলোপাথাড়িভাবে পিটিয়ে জখম করে।
“এ সময় গোবিন্দ দাসের সঙ্গে থাকা নগদ ৪০ হাজার টাকা ও একটি হাত ঘড়ি ছিনিয়ে নিয়ে যায় আবু কালাম বেপারী।”
পরে স্থানীয়রা গোবিন্দকে উদ্ধার করে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
গোবিন্দ দাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি নিজে বাদী হয়ে আবুল কালাম বেপারীর বিরুদ্ধে নড়িয়া থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা করেছেন।
আবুল কালাম বেপারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার নামে মিথ্যা কথা বলেছে। আমি তাকে মারপিট করিনি।”
কাঞ্চনপাড়া বাজার কমিটির সভাপতি ও মহিষার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নুর ইসলাম সরদার বলেন, আবু কালাম একজন মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী। সে বিভিন্ন লোকের কাছে চাঁদা নেয়। গোবিন্দ দাস চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে মারপিট করেছে।
নড়িয়া থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া বলেন, “ঘটনার কথা শুনেছি। তবে কেউ আমার কাছে কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেনি।”