নেত্রকোনার হাওর এলাকায় বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না; প্রত্যেক হাওরে একটি আবাসিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হবে।
Published : 18 May 2017, 04:00 PM
সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে এসে বৃহস্পতিবার দুপুরে নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ী কলেজ মাঠে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাওরাঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন করবে সরকার। এ লক্ষ্যে কাজ চলছে।
“হাওর রক্ষায় বেড়িবাঁধ করা হবে। নদী ও খাল খনন করা হবে, যাতে পানিধারণের ক্ষমতা বাড়ে। মাছের উৎপাদন বাড়ানো হবে। সবার জন্য গৃহের ব্যবস্থা করা হবে। দেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। আর প্রত্যেক হাওরে একটি আবাসিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হবে।”
বক্তব্য দেওয়ার আগে তিনি ওই এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন।
বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী মাছ উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি প্রক্রিয়া ও বাজারজাত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন।
“কৃষকদের কৃষি উপকরণ পেতে সুবিধার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন তার জন্য অল্প সময়ে ফসল উৎপাদনে গবেষণাগারে কাজ চলছে।”
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বন্যায় দেশের উত্তর-পূর্ব এলাকায় নেত্রকোনাসহ হাওরাঞ্চলের ছয় জেলায় মোট দুই লাখ ১৯ হাজার ৮৪০ হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়েছে; ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা আট লাখ ৫০ হাজার ৮৮।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাওরে বন্যার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সব মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেই, “কেউ যেন না খেয়ে দিনাযাপন না করেন। কেউ যেন গৃহহারা না থাকেন।
“হতদরিদ্রদের ভিজিএফের মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ১০ টাকায় ৫০ লাখ মানুষের মাঝে চাল দেওয়া হচ্ছে।”
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে আবারও সরকার গঠনে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।
খালিয়াজুরীর পর তিনি বল্লভপুর গ্রামে গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করেন। এছাড়া খালিয়াজুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেন।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল হক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী।