অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক মামলায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো.বদরুজ্জামানের জামিন আবেদন না- মঞ্জুর করেছে আদালত।
Published : 16 Mar 2017, 04:38 PM
বদরুজ্জামানের আইনজীবীরা বৃহস্পতিবার গাজীপুরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে বিচারক মো.ইলিয়াস রহমান তা নাকচ করেন বলে আদালতের পরিদর্শক মো.রবিউল ইসলাম জানান।
গত সোমবার ভোরে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোর্শেদ আলমের নেতেৃত্বে একটি দল বদরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে।
পরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করে তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক ফজলুল বারী। একইসঙ্গে আসামির পক্ষ থেকে জামিন আবেদন করা হয়।
ঢাকা মহানগর হাকিম কাজী কামরুল ইসলাম তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান। এরপর থেকে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
২০১২ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানায় বদরুজ্জামানের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার উপাচার্য অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহসহ মোট ১৩ জন এ মামলার আসামি।
সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গণনিয়োগ’ পাওয়া ১৬৯ জন কর্মচারিকে ‘অবৈধভাবে’ সিলেকশন গ্রেড দিয়ে সরকারের এক কোটি ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৩৯৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় মামলায়।
আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য দুদকে পাঠালে সহকারী পরিচালক ফজলুল বারী এর দায়িত্ব পান।
এর আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে একই মামলায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তাওহীদ জামান শিপু, অর্থ ও হিসাব বিভাগের সহকারি পরিচালক (বেতন ও কল্যাণ) শেখ মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসাইন, ও সহকারী রেজিস্ট্রার সিদ্দিকুর রহমান গ্রেপ্তার হন।
আদালতের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে রয়েছেন তারা।