কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একটি ভবনে বিস্ফোরণে এক ছাত্রী গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। তবে কী বিস্ফোরিত হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
Published : 23 Aug 2016, 03:58 PM
মঙ্গলবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে বলে কুমিল্লার পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন জানান। তবে কী ছাত্রীদের মেস ‘ছালমা ছাত্রীনিবাস’ সংলগ্ন ‘শ্রশান্তি’ ভবনের নীচতলায় মঙ্গলবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে বলে কুমিল্লার পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন জানান।
আহত ফাহমিদা হাসান নিশা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯মব্যাচের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্রী। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
‘ছালমা ছাত্রীনিবাস’ স্থানীয়ভাবে শিবিরের মেস বলে পরিচিত হলেও পুলিশ কিংবা স্থানীয় কেউ এ ব্যাপারে মুখ খুলছে না।
একদিন আগেই নিশা ‘ছালমা ছাত্রীনিবাস’ থেকে ‘শ্রশান্তি’ ভবনে উঠেছিলেন।
এসপি শাহ আবিদ হোসেন জানান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বপাশে শালবন বিহার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ‘ছালমা ছাত্রীনিবাসে’ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্রীদের সঙ্গে থাকতেন ফাহমিদা হাসান নিশা।
“সোমবার তিনিসহ চার ছাত্রী ওই মেস ছেড়ে পাশের ভবন প্রশান্তির দুটি কক্ষে ওঠেন। এক কক্ষে দুইজন উঠলেও নিশার কক্ষে তার সঙ্গের ছাত্রীটি বাড়ি থাকায় উঠতে পারেননি।”
এসপি বলেন, ভোর ৬টার দিকে বাড়িটির নীচতলার নিশাদের কক্ষে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে ওই কক্ষের জানালার কাচ ভেঙে যায়। দক্ষিণ দিকের জানালাটি ১০ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে।
“স্থানীয়রা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।”
“ওই ভবনের ছয় ছাত্রী ও ছালমা ছাত্রীনিবাসের দুই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।”
এসপি শাহ আবিদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঢাকা থেকে ক্রাইমসিনের সদস্যরা এসে ঘটনাস্থল দেখেছেন এবং আলামত সংগ্রহ করেছেন। ঢাকা নিয়ে আলামত পরীক্ষার পর বিস্তারিত জানানো হবে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন বলে জানান এসপি।
এদিকে, ছালমা ছাত্রীনিবাসের দারোয়ান শহীদুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ছাত্রীনিবাসের মালিক মো. আবু তাহের ও ম্যানেজার মো. মাহাবুবকে পুলিশ আটক করেছে।
তবে তাদের আটকের বিষয়ে পুলিশ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।