দেশজুড়ে পৌরসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে ভোট দিচ্ছেন দশ পৌর এলাকার বাসিন্দারা।
Published : 20 Mar 2016, 08:57 AM
রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এসব পৌরসভার মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ চলবে।
পৌরসভাগুলো হচ্ছে- রংপুরের হারাগাছ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, ঝালকাঠী সদর, নোয়াখালীর কবিরহাট, কুমিল্লার নাংগলকোট, ফরিদপুরের ভাংগা, কক্সবাজারের চকরিয়া ও মহেশখালী, ফেনীর সোনাগাজী ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভা।
ভোট উপলক্ষে এসব পৌর এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা রয়েছে মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যান চলাচলে।
ইসির সহকারী সচিব রাজীব আহসান জানান, এই পর্বে মেয়র পদে ৪২ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১০৭ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি, পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। চকরিয়া ও মহেশখালীতে বিজিবি সদস্য এক প্লাটুন করে বাড়ানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম খোকন, বিএনপির জামাল উদ্দিন সেন্টু, জাতীয় পার্টির মজিবুল হক মানিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু নাছের, নাছির উদ্দিন রিপন ও শেখ সেলিম মেয়র পদে লড়ছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, এখানকার নয়টি ভোটকেন্দ্রের সব ক’টিকে ‘অধিক গুরুত্বপূর্ণ’ (ঝুঁকিপূর্ণ) ঘোষণা করা হয়েছে।
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রশাসন যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
ফরিদপুর: ভাঙ্গা পৌরসভার মোট ভোটার ২৪ হাজার ৬২২ জন। মেয়র পদে পাঁচ, কাউন্সিলর পদে ৩৪ এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় মোট ভোটার এক লাখ ৮ হাজার ১৯৯ জন। মেয়র পদে পাঁচজন। ১১টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৫৬ এবং চারটি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আওয়ামী লীগের নায়ার কবির, বিএনপির হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জাতীয় পার্টির মো. আনিছ খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মাওলানা ইউসুফ ভূঁইয়া মেয়র পদে লড়ছেন।
এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর প্রথম দফায় দেশের ২৩৪ পৌরসভায় ভোট হয়। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২০টি দল পৌর নির্বাচনে অংশ নেয়।
দলীয় প্রতীকে স্থানীয় এই নির্বাচনে প্রথম পর্বের ২৩৪টি পৌরসভার মধ্যে ২২৭টির ফল ঘোষণা হয়েছে। মেয়র পদে ১৭৭টিতে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে, বিএনপির বিজয়ী মেয়র ২২ জন।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আর কেবল জাতীয় পার্টির একজন মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। যে ২৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন, তার ১৮ জনই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।