প্রথম দিন ৬০ মিলিমিটার ও দ্বিতীয় দিন ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
Published : 20 Mar 2023, 12:46 PM
চৈত্রের দুদিনে সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরে ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, বৃষ্টিতে এ অঞ্চলের বোরো চাষিরা লাভবান হবে।
গত শনিবার রাত আড়াইটা থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত শেরপুর জেলার পাঁচ উপজেলার ওই পরিমান বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় বলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়।
এর মধ্যে প্রথম দিন ৬০ মিলিমিটার ও দ্বিতীয় দিন ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে থেমে থেমে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হয়। মাঝে মাঝে বজ্রপাতও হয়। এ বৃষ্টি সোমবার ভোর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। বৃষ্টির পরশে সিক্ত হয়েছে মাটি। চৈত্রের বৃষ্টির পানির ছোঁয়ায় ধানসহ ফসলের মাঠে এবং আম, লিচুসহ বিভিন্ন ফল ও ফুলের বাগানে ফিরে এসেছে সজিবতা।
তবে অনেক স্থানে সড়কে পানি জমে কাদায় পানিতে একাকার হয়ে যাওয়ায় চলাচলে সাময়িক বিঘ্ন ঘটছে। নির্মাণ কাজে যারা হাত দিয়েছেন, এই বৃষ্টির ফলে তারা একটু বেকায়দায় পড়েছেন।
শেরপুর শহরের বাগবাড়ী মহল্লার বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম বলেন, “এ বৃষ্টি বোরো আবাদের জন্য খুবই উপকার হয়েছে। তবে নতুন বাসার কাজ চলমান থাকায় নির্মাণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে।”
শহরের নবীনগর মহল্লার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান বলেন, “ফসলের জন্য এই বৃষ্টি খুবই ভালো হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় ধুলো বালির জন্য মানুষের ভোগান্তি হচ্ছিল, তা কমে গেছে। তবে কিছু কিছু রাস্তাঘাটে পানি জমেছে এবং কাদায় পানিতে একাকার হয়ে যায় সাময়িক চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। সর্বোপরি এ সময়ে এই বৃষ্টি প্রয়োজন ছিল। তাই উপকারই হয়েছে বেশি।”
শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ পরিচালক কৃষিবিদ হুমায়ুন কবির জানান, এই সময়ের বৃষ্টি বোরো ধানের জন্য আর্শীবাদ বয়ে এনেছে। সেচের জন্য অনেক বিদ্যুৎ খরচ হতো তা বেঁচে গেছে। বিশেষ করে, এ বৃষ্টির পানিতে নাইট্রোজেন থাকায় ধানের খুবই উপকার হয়েছে।