লন্ডনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তনদের বৈশাখী উৎসব

হুতোম প্যাঁচা, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, টিয়া পাখির মুখোশ ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা করেন তারা।

লন্ডনে ঈদ পুনর্মিলনী ও বৈশাখী উৎসব করেছে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ইউকে’।

বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে রোববার পূর্ব লন্ডনের ভ্যালেন্টাইন্স পার্কে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান তারা।

বর্ষবরণ আয়োজনের মাধ্যমে গ্রাম-বাংলার রূপ ফুটিয়ে তুলতে চারুকলার সাবেক শিক্ষার্থীরা তৈরি করেন হুতোম প্যাঁচা, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, টিয়া পাখির মুখোশ ও প্ল্যাকার্ড। শোভাযাত্রায় অংশ নিতে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে ছুটে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। রাজা তৃতীয় চার্লসের আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণের ঐতিহাসিক মুহূর্তটি স্মরণ করেন তারা।

উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন রেডব্রিজ কাউন্সিলের মেয়র কাউন্সিলর জয়ারঞ্জন থাভাথুরা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ব্যারিস্টার আনিস রহমান।

ক্লাবের পরিচালনা পরিষদের সদস্য সাংবাদিক তানভীর আহমেদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পরিষদের অপর সদস্য থার্ড সেক্টর কনসালটেন্ট বিধান গোস্বামী, ব্যারিস্টার হাফিজুর রহমান, ব্যারিস্টার কাজী আশিকুর রহমান, প্রদীপ মজুমদার, রওশন জাহান পলি, ফাতেমা বেগম লিলি, ফাতেহা পলি, শাহীনা জেবিন, তাসলিমা মীরা, শওকত আলী বেনু, অ্যাডভোকেট শাহ আলম সরকার, হারুনুর রশীদ, রেদওয়ান জান্নাত ঈশিতা ও রথীন্দ্র গোস্বামী।

নতুন সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার কানামিক কনি খান ও সিরাজুম মুনিরা সিফাত।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জয়ারঞ্জন বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইদের উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ উদযাপন ব্রিটেনের মিশ্র সংস্কৃতির পরিচয়কে প্রতিনিধিত্ব করে”। এ উদ্যোগের ধারাবাহিকতা কামনা করেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ইউকের পরিচালনা পরিষদের সদস্য চারুকলা অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী শিল্পী মাসুদ মিজান বলেন, “চারুকলা অনুষদের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য যেভাবে মুখোশের ডিজাইন করেছি, ৩০ বছর পর লন্ডনে আবারো এ ধরণের উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পেরে গৌরববোধ করছি।”

উৎসবে গান শোনান ক্লাবের পরিচালনা পরিষদ সদস্য সঙ্গীতশিল্পী সারওয়ারী আলম ও আজিজুর রহমান। পথনৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্যশিল্পী মোহাম্মদ দ্বীপ।