জার্মানির বার্লিন ও ব্রান্ডেনবুর্গসহ আশপাশের শহরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থীর বসবাস। প্রবাস জীবনে কর্মব্যস্ততার ফাঁকে ক্যাম্পাসের স্মৃতি সবার মাঝে ফিরিয়ে আনতে পুনর্মিলনী করেছেন তারা।
Published : 13 Sep 2021, 01:37 PM
শনিবার বার্লিনের লিস্টেনবার্গ পার্কে এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে শিক্ষার্থীরা পার্কে জড়ো হতে থাকেন। চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে সবার মুখে মুখে ক্যাম্পাসের সেই পুরনো দিনের গল্প।
একে একে চোখজুড়ানো সেই এক কিলো, ছোট্ট টিলার উপর সবুজের মাঝে দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার, হল, হ্যান্ডবল মাঠ, লাইব্রেরি বিল্ডিং, গোলচত্বর, কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়াম, শিকড়, নোঙ্গর, মাভৈ, রিম, সুপা ও দিক থিয়েটারসহ ক্যাম্পাসের অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর গল্প যেন থামতেই চায় না।
আড্ডা শেষে পরিবেশন করা হয় দেশি খাবার। মধ্যাহ্ন ভোজের পর শুরু হয় বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পরিচয়-পর্ব ও ফটোসেশন। এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে গান গেয়ে শোনান পলাশ। গানের সঙ্গে সুর মিলিয়ে সম্মিলিত কণ্ঠে সবাই গেয়ে ওঠে ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’। মুহূর্তের মধ্যে সবাই যেন হারিয়ে গিয়েছিল ক্যাম্পাসের পুরনো স্মৃতির পাতায়।
শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই জার্মানিতে এসেছেন মাস্টার্স করতে। পাশের কটবুস শহর থেকে এসেছেন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী রিয়াসাত, বিবিএর আসিফ, ইউরোপা ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত নৃবিজ্ঞানের সৌমেন, ব্রেমেন শহর থেকে কম্পিউটার সায়েন্সের মুকুল ছাড়াও ছিলেন তৌহিদ, নওশাদ, পার্থ, রাতুল, আনোয়ার, নোমান ও কামালসহ গোটা পঞ্চাশেক শিক্ষার্থী। বার্লিনে শশী কিংবা হিমেলের মতো অনেকেই করছেন চাকরি-বাকরি। দেশ থেকে শাবির কম্পিউটার সায়েন্স গ্র্যাজুয়েট অনেকে এসেছেন সরাসরি চাকরি নিয়ে। আর শামীমের সঙ্গে গুটিগুটি পায়ে এসেছিল সেকেন্ড জেনারেশন।
গ্রাফিতির নগর বার্লিনে ধীরে সন্ধ্যা ঘনায়, একরাশ আনন্দ ও একবুক আশা নিয়ে সবাই পা বাড়ায় নীড়ের পানে। ফিরতে ফিরতে কানে বেজে ওঠে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান- ‘পুরনো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়। ও সেই চোখের দেখা প্রাণের কথা সে কি ভোলা যায়।’
লেখক: পোস্ট ডক্টরিয়াল ফেলো, কলোরাইড সায়েন্স, বার্লিন পোস্টডেম ইউনিভার্সিটি, জার্মানি
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |