‘অসাধু ট্রাভেল এজেন্সির সিন্ডিকেটে’র যোগসাজশে বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোর কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মচারী ভিজিট ভিসায় সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী প্রবাসীদের হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছেন সেখানকার প্রবাসী ব্যবসায়ীরা।
Published : 10 Nov 2020, 01:12 AM
তারা বলেন, বিমান বন্দরে ভিজিট ভিসা ও এ সংক্রান্ত সব ধরনের কাগজপত্র থাকলেও আটকে দেওয়া হচ্ছে এবং বিমানবন্দর ও ট্রাভেল এজেন্সিগুলো এক ধরনে ‘কন্ট্রাক্ট-বাণিজ্য’ ফেঁদে বসেছে।
কন্ট্রাক্ট না থাকলে ভিজিট ভিসাধারীদের আমিরাত যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।
শনিবার স্থানীয় সময় রাতে আবুধাবির একটি রেস্তোরাঁয় প্রবাসী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে।
সম্মেলনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে আলোচনা করেন ব্যবসায়ী জিয়া উদ্দিন তরফদার, আব্দুল মান্নান, শাহেদ নূর,আতাউর রহমান আতা ও আজমল খান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য বলা হয়, “৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমিরাতে বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধ। যা আমাদের এই সম্ভাবনাময় শ্রমবাজারটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার ভিজিট ভিসায় বাংলাদেশিদের বৈধভাবে আমিরাতে আসার সুযোগ দিচ্ছে। ভিজিট ভিসায় আমিরাতে আসার পর ভিসা স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে কোম্পানির ভিসা বা পার্টনার ভিসা লাগানোর সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের এয়ারপোর্টে ভিজিট ভিসাধারীদের আটকে দেওয়া হচ্ছে।”
সম্মেলন আয়োজনকারীরা অভিযোগ করে বলেন, “বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার টাকা বিমান ভাড়ায় যেখানে তারা এদেশে আসতে পারতেন এখন তাদেরকে দেড় লাখ থেকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকায় চুক্তিতে আসতে হচ্ছে, যার ব্যয়ভার বহন করা প্রান্তিক মানুষের পক্ষে দু:সাধ্য।”
সংবাদ সম্মেলনকারীরা সমস্যার সমাধানে প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী, বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |