যুক্তরাষ্ট্রে তথ্য ও প্রযুক্তি সেবা সরবরহাকারী বাংলাদেশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ‘পিপলএনটেক’ এর সঙ্গে চট্টগ্রামের ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলাজি (ইউএসটিসি) এর মধ্যে শিক্ষা-বিনিময়ের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
Published : 30 May 2019, 03:51 PM
বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডে পিপলএনটেকের ক্যাম্পাসে এ অনুষ্ঠানের স্লোগান ছিলো ‘দক্ষ হলেই জীবন যুদ্ধে জয়ী হবার পথ সুগম হয়’।
পিপলএনটেকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হানিপ বলেন, “এ চুক্তি অনুযায়ী ইউএসটিসির চতুর্থ বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীরা আইটি সেক্টরে চাকরির উপযোগী বিশেষ কালিক্যুলাম শেষ করতে পারবেন। ফলে তারা আইটি সেক্টরের যে কোনো প্রতিষ্ঠানে মিড-লেভেলের চাকরির জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন। আর এ কারিক্যুলাম পিপলএনটেকের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে দেওয়া হবে।”
পিপলএনটেক এর সঙ্গে একই ধরনের চুক্তির প্রক্রিয়ায় রয়েছে ইউল্যাবসহ বাংলাদেশের আরো কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন আইটি কোম্পানিতে উচ্চ বেতনের চাকরির পথ সুগম হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইউএসটিসির সিন্ডিকেট সদস্য ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন জানান, তথ্য-প্রযুক্তির এ যুগে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ছাত্র-ছাত্রীদের দক্ষ হয়ে উঠার বিকল্প নেই। আর এ কারিক্যুলাম যথাযথভাবে রপ্ত করা হলে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে চাকরির যোগ্য হবেন ছাত্র-ছাত্রীরা। ইউএসটিসি সেই সুযোগটি কাজে লাগাতে চায়।
আবু হানিপ বলেন, “ঢাকার গ্রিনরোডে আমাদের ক্যাম্পাস রয়েছে। সেখানে স্থান সংকুলান না হওয়ায় সম্প্রসারণ ঘটানোর পাশাপাশি ধানমন্ডিতেও নতুন ক্যাম্পাস করা হচ্ছে। আর এভাবেই পিপলএনটেকের সার্ভিস বাংলাদেশিরাও নিতে সক্ষম হচ্ছেন।”
তিনি জানান- ভার্জিনিয়া, নিউ জার্সি, পেনসিলভেনিয়া ও নিউ ইয়র্ক ছাড়াও পিপলএনটেকের ক্যাম্পাস রয়েছে ভারত ও বাংলাদেশে। প্রতি মাসেই প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী নির্দিষ্ট একটি কোর্স সম্পন্নের পর মার্কিন আইটি সেক্টরে উচ্চ বেতনের চাকরি পাচ্ছেন। বাংলাদেশিদের পাশাপাশি ভিয়েতনামি, চীনা, ভারতীয় ও পাকিস্তানিরাও কোর্স নিচ্ছেন নিয়মিত।
সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের নামে একটি বৃত্তি ঘোষণা করেছে পিপলএনটেক। শতাধিক নারী-পুরুষ সেই বৃত্তি পাবেন অর্থাৎ ৪ হাজার ডলারের কোর্স তারা বিনামূল্যে নিতে পারবেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্যও স্থায়ী একটি বৃত্তি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এ সংস্থা। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হলেও গত দেড় দশকে এ ধরনের অসংখ্য সেবামূলক কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করেছে পিপলএনটেক।
চুক্তি স্বাক্ষরের সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পিপলএনটেকের পরিচালক সৈয়দ হাসান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মিলন ও ম্যানেজার সাঈদ আলম সুমন।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |