লেক তোবার পরে সারা সুমাত্রার মধ্যে এই জঙ্গল-ভ্রমণ বিদেশি পর্যটকদের কাছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পছন্দের জায়গা। সারা পৃথিবীর প্রচুর পর্যটক আসেন এখানে। উদ্দেশ্য বন ভ্রমণ, বন্য প্রাণী ও ওরাংওটাং দেখা।
ছুটির দিনে আশপাশের গ্রাম ও শহর থেকে গাড়ি ভর্তি করে স্কুল ছাত্র-ছাত্রীরা ছুটে আসে এই গ্রামে। উদ্দেশ্য বিদেশি পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলে ইংরেজি শেখা। ইংরেজিপ্র্যাকটিস করা। এতো ছোটো ছোটো ছেলেমেয়ে এতো সুন্দর করে ইংরেজিতে কথা বলে দেখে আমার ঈর্ষা হলো। আমার ছোটোবেলায় ইংরেজিতে কথা বলবো দূরের কথা,ইংরেজি লোকদের কেবল টিভিতেই দেখেছি তখন।
এরা দলবেঁধে আসে। দলে দলে সারা গ্রাম ঘুরে বেড়ায়। রাস্তাঘাটে দেখা হওয়া পর্যটকদের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলে। নোট করে। রেকর্ড করে। ভিডিও করে। প্ল্যাকার্ডে লিখে আনা ইংরেজি শব্দের সঠিক উচ্চারণ শেখে।
একজনকে বললাম আজতো রোববার, ছুটির দিন, তোমাদেরতো বিশ্রাম করার কথা। সে বললো বিশ্রাম করলেতো আর শেখা যাবে না। জিজ্ঞেস করলাম, কি প্রাইভেট স্কুল?বললো না, গভর্নমেন্ট স্কুল। গভর্নমেন্ট স্কুলে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও শিক্ষকরা ওদের সময় দিচ্ছেন এক-দেড়শ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এখানে আসতে। আসে শুধু ইংরেজি প্র্যাকটিস করতে, শুনে আমার অবাক হওয়াটা তেমন কোনো অবাক ব্যাপার নয় হয়তো।
এই ইন্দোনেশিয়দের খুবই ভাগ্যবান মনে হলো আমার কাছে। দারুণ লাগলো এদের ইংরেজি শেখার বুদ্ধি দেখে। সঠিক ইংরেজি শেখার জন্য এর চাইতে ভালো পন্থা আর কী হতে পারে!
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |