বিএনপি নেতাদের মুখে ‘শালীনতা’ শব্দটি মানায় না: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি নেতাদের মুখে ‘শালীনতা’ শব্দটি মানায় না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ফখরুলের প্রতিক্রিয়া

সোমবার তথ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাতীয় সংসদে বিএনপি, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ‘অনভিপ্রেত ও রাজনৈতিক শালীনতা বিবর্জিত’ বলে সোমবার মন্তব্য করেছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তার প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী কিছু অপ্রিয় সত্য কথা সংসদে বলেছেন। এই রাজনৈতিক দলটির জন্মই হচ্ছে অবৈধ যেটি হাই কোর্টও রায়ে বলেছেন। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করেছেন এটি বলাতে মির্জা ফখরুলদের গাত্রদাহ হচ্ছে, এটি খুবই স্বাভাবিক।

“মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির প্রথম সারির নেতারা সবাই অন্য দল করতেন। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করার জন্য ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, রিজভী আহমেদসহ এরা সবাই বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এটি বলাতেই তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে।”

হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপির সত্যটাকে মেনে নেওয়া প্রয়োজন। অসত্যের ওপর দাঁড়িয়ে বেশি দিন টিকে থাকা যায় না। তাদের নেতাদের শালীনতা শেখানোর জন্য আমি ফখরুলকে বলব।

“২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী যখন ফোন করেছিলেন তখন কি রকম অশালীন ভাষায় খালেদা জিয়া কথা বলেছিলেন দেশবাসী দেখেছেন।

“কোকোর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী সমবেদনা জানানোর জন্য খালেদা জিয়ার বাড়িতে গিয়েছিলেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী ২০ মিনিট দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেন কিন্তু খালেদা জিয়া দরজা খোলেননি, এটা কেমন শালীনতা? যারা এরকম অশালীন আচরণ করে তাদের মুখে শালীনতা শব্দটি মানায় না।”

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার অনুমতি না পাওয়া নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা হাছান বলেন, “খালেদা জিয়া আদালত থেকে নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া সত্ত্বেও তাকে যে মহানুভবতা দেখিয়ে কারাগারের বাইরে রাখা হয়েছে, মনে হয় সেটি ভুল হচ্ছে আমাদের।

“এখন সেটি আবার পুনর্বিবেচনা করতে হবে, বেগম খালেদা জিয়াকে আইন অনুযায়ী আবার জেলখানায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে কিনা সেটি একটু চিন্তাভাবনা করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে বিএসআরএফ নেতারা সংগঠনের কার্যালয় সংস্কার, মিডিয়া সেল গঠন, সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার দাবি জানান। তথ্যমন্ত্রী এসব বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের নেতৃত্বে সংগঠনের নবনির্বাচিত কমিটির নেতারা তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তথ্য সচিব মো. মকবুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।