বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষায় রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
Published : 03 Mar 2021, 06:50 PM
বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার সাময়িক মুক্তির ক্ষেত্রে তার দেশে থাকার যে শর্ত দেওয়া হয়েছে, বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দিতে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি।
খালেদা জিয়ার ছোট ভাইও মঙ্গলবার আবেদন করছেন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “পরীক্ষা- নিরীক্ষা করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হবে (আবেদনটি); আইন মন্ত্রণালয় থেকে মতামত আসলে আমাদের যথাযোগ্য..... আলাপ করে ব্যবস্থা নেব।”
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত বছরের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। তার পরিবারের আবেদনে পরে তা আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়, যার মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সরকার শর্ত দিয়েছে, এই সময়ে খালেদা জিয়াকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭৫ বছর বয়সী খালেদা। বহু বছর ধরেই তিনি আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক বরাবরই বিদেশে চিকিৎসার সুপারিশ করে আসছেন বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “এটা সব সময় চিঠিতে লেখা থাকে, রেফারেন্স থাকে, বিদেশে যাওয়ার.....সেরকম লেখা থাকে।
“কিন্তু উনি (খালেদা জিয়া) এখনও কারাগারেই আছেন। তার বাড়িটা তো কারাগার হিসেবেই তিনি এখানে আছেন।”
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে সরকার আন্তরিক দাবি করে আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হল মানবতার জননী। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যখনই কাউকে দেখেন এ রকম অবস্থা, সবসময় সহযোগিতা করে থাকেন।
“খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসা বাসায় থেকে যাতে পান, অন্যান্য সুবিধা যাতে পান, সেজন্য শর্ত সাপেক্ষে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।”