বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ তার দলের নেতাকর্মীদের বলেছেন, বাড়িতে বসে মিটিং করে নয়, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে রাজপথে আন্দোলনে নামতে হবে।
Published : 08 Nov 2019, 10:08 PM
শুক্রবার গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চ মিলনায়তনে বিএনপির ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের’ আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
মওদুদ বলেন, “আজকে আমরা ব্যর্থ হযেছি। বেগম খালেদা জিয়াকে আমরা মুক্ত করতে পারি নাই। আজকে এক বছর নয় মাস হয়ে গেছে তিনি কারাগারে আছেন। তার শরীরের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ, আপনারা সবাই জানেন। আদালতের ওপর রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে তার জামিনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয় নাই। হয়ত জামিন হবে না।”
তিনি বলেন, “আমি বলতে চাই… আপনারা কী আপনাদের বাড়িতে বসে মিটিং করে বেগম জিয়ার মুক্তি করতে পারবেন? না। তাই আন্দোলনের সময় এসে গেছে এখন। আজকে যদি আন্দোলনের ডাক আসে, রাজপথে আপনাদের নামতে হবে, আমরা যারা সিনিয়র আছি আমরা আপনাদের পাশেই থাকব।”
সরকার ‘ক্যাসিনোর গল্প সাজিয়ে’ দুর্নীতি থেকে জনগণের দৃষ্টি আড়াল করছে বলে সভায় অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, “তারা মানুষকে সুশাসন থেকে বঞ্চিত করছে, নিজেদের দুর্নীতি এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যেটাকে ঢাকার জন্য নিজেদের চুনোপুঁটিদের ধরতে হচ্ছে।… এই চুনোপুঁটি ধরে এবং ক্যাসিনোর গল্প সাজিয়ে মূল দুর্নীতি থেকে আপনারা জনগণের দৃষ্টিকে আড়াল করতে পারবেন না।”
“আমি জানি, জিজ্ঞাসা করলে বলবেন, আমাদের বলার কী আছে। আমাদেরকে তাই নির্দেশ দিয়েছে। এটাই চলছে এখন। কেউ নির্দেশে করছে, কেউ আবার সেলফ সেন্সরশিপে করছে। এটা ছাপলে না আবার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। কেউ কথা বলতে সাহস করে না। টেলিভিশনে কেউ কথা বলতে পারে না। যারা কথা বলতেন তাদের ডাকা হয় না। মুক্তভাবে লিখতে পারে না। রাস্তায় বেরুতে পারে না।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন সভায় বলেন, “আজকে বাংলাদেশ একটি স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট সরকারের রোল মডেল হয়েছে, দুর্নীতির রোল মডেল হয়েছে, অত্যাচার-অনাচার-চাঁদাবাজীর রোল মডেল হয়েছে, ক্যাসিনোর রোল মডেল হয়েছে।
“তাই আমাদেরকে এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। রক্ষা করতে হলে গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা ছাড়া গণতন্ত্র আসবে না।”
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরী ও সহ প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের পরিচালনায় এ আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, ঢাকা মহানগর উত্তরের বজলুল বাসিত আনজু, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, যুব দলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অন্যদের মধ্যে বিএনপির আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, বিলকিস জাহান শিরিন, শিরিন সুলতানা, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, রেহানা আখতার রানু, আবদুস সালাম আজাদ, সেলিমুজ্জামান সেলিম, মোরতাজুল করীম বাদরু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, কাজী আবুল বাশার, রফিকুল ইসলাম মাহতাব, আবুল কালাম আজাদমহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।