রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
Published : 30 Jul 2018, 05:26 PM
তিন সিটির ভোটগ্রহণ শেষে সোমবার বিকাল ৪টায় দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই অভিযোগ করেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “তিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোট নয়, আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন হলো। গাজীপুর ও খুলনায় অল্প কিছু লোক ভোট দিতে পারলেও আজকে তিন সিটিতে সেটিও সম্ভব হয়নি।
“রাজশাহী ও বরিশালে অধিকাংশ কেন্দ্র এবং সিলেটে মোট ভোট কেন্দ্রের ৯৫ শতাংশ কেন্দ্র ক্ষমতাসীনরা দখল করেছে।”
এসময় রাজশাহীর ১৩৮টি এবং বরিশালের ১২৩টি কেন্দ্রের প্রায় সবগুলোর বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টদের বের করে ক্ষমতাসীনরা ‘ভোট কারচুপি, ভোট জালিয়াতি ও ভোট সন্ত্রাস করেছে’ বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
“সিলেটে ১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কেন্দ্রে ভোট কারচুপি ও সন্ত্রাস করে নিয়ে গেছে। ”
‘ভোটের উৎসব হয়েছে’ বলে আওয়ামী লীগের বক্তব্যের জবাবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “আওয়ামী লীগ লুটের মালের মতো একচেটিয়া জালভোট ও ভোট সন্ত্রাসের কৃতিত্বে আত্মপ্রসাদ লাভ করেছে। আর সেজন্যই তারা উৎসবে মেতে উঠেছে।
“আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে নিয়েছে পুলিশ। তিন সিটিতে একচেটিয়া পুলিশ কর্তৃক নৌকা প্রতীকে সিল মারা ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান হয়েছে। এটি আওয়ামী নাৎসীবাদের এক চূড়ান্ত রূপের আত্মপ্রকাশ।”
নির্বাচন কমিশনের ‘নির্বিকার ভুমিকার’ সমালোচনা করে তিনি বলেন, “তিন সিটিতে প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজবেতনভোগী কর্মচারি নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নয়, তারা অবৈধ সরকারেরর প্রতিনিধি। সরকারের ইঙ্গিত, আভাস, ইচ্ছায় ইসি তিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে শ্বাসনিরুদ্ধ দুর্বৃত্তপনার নির্বাচনী প্রহসনের সহযোগী হলেন।”
ভোট গ্রহনের ৪ ঘণ্টা পর বরিশাল বিএনপির নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তটি কেন্দ্র থেকে হয়েছে কি না প্রশ্ন করা হলে রিজভী বলেন, এটা স্থানীয় অবস্থা বুঝে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবেন বলে রিজভী জানান।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা শিরিন সুলতানা, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, আবদুস সালাম আজাদ, রফিক শিকদার, শামসুজ্জামান সুরুজ ও ফরিদা ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন।