খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য শুধু আইনি লড়াই সুবিধাজনক হবে না মন্তব্য করে রাজপথে থাকার কথাও বলেছেন মওদুদ আহমদ।
Published : 18 May 2018, 04:39 PM
সর্বোচ্চ আদালত জামিন বহাল রাখার পরও বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি না হওয়ার কথা তুলে ধরে শুক্রবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে কি হবে না- এটা এখন চলে গেছে সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিম্ন আদালতের বিচারকদের মাধ্যমে। এই বিচারকরা সরকার যা বলবেন, তাই করবে। কারণ সুপ্রিম কোর্টের কাছে তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নাই, তাদের দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা এখন সরকারের কাছে।
“আইনি লড়াই একভাবে বেগম জিয়াকে মুক্ত করে আনতে সুবিধাজনক হবে না। আইনি লড়াইয়ের সাথে সাথে রাজপথের কোনো বিকল্প নাই। আমাদের এখন ধীরে ধীরে এখন কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করতে হবে। আমাদেরকে ঈদের পরে এ বিষয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করতে হবে।”
“কারণ তারা এতে কোনো সাড়া দেয় নাই। বরং উল্টো আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আরো বেশি করে মামলা দিয়েছে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করার কারণে।”
খুলনার অভিজ্ঞতায় অন্য সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের অংশ নেওয়ার বিষয়ে ‘নতুনভাবে চিন্তা’ করার দরকার মন্তব্য করেন তিনি বলেন, “খুলনায় নির্বাচন করেছে পুলিশ। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের চাইতেও পুলিশ বাহিনী বেশি তৎপর ছিল। তারাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী যাতে জয়লাভ করে তার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স কক্ষে ঢাকাস্থ লক্ষীপুর জাতীয়তাবাদী যুব ফোরামের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর মুক্তির দাবিতে এই আলোচনা সভা হয়।
সংগঠনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসীন আলী, লক্ষীপুর বিএনপির সহসভাপতি মনির আহমেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন বক্তব্য দেন।