গণতন্ত্রকে বিতাড়িত করে সরকার দেশে একদলীয় শাসন প্রবর্তনের ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
Published : 16 Dec 2017, 03:54 PM
বিজয় দিবসের দিন সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে দুপুরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
এসময় তিনি বলেন, “আজকে গণতন্ত্র পুরোপুরিভাবে নির্বাসিত। মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে, তারা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে না, সাংবাদিকরা সাহস করে লেখতে পারে না। মানুষের যে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সেটাও আজকে চলে গেছে। সরকার আমাদেরকে শাসন করছে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে এবং অনৈতিকভাবে।
“এ সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করবার জন্য সকল ব্যবস্থা প্রায় পাকাপোক্ত করেছে।”
বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য সব সময় সংগ্রাম করেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “আপনারা দেখেছেন, আমরা বরাবরই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি। সেই ১৯৮২ সাল থেকে শুরু করে ৯০ পর্যন্ত আমরা দেশনেত্রীর নেতৃত্বে আন্দোলন করেছি। তার আপোসহীন নেতৃত্বের কারণে আমরা গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছিলাম। পরবর্তিকালে ১/১১ এর অবৈধ-বেআইনি সরকার আসার পরে দেশনেত্রীর যে দৃঢ়তা তার কারণে কিছুটা হলেও আমরা গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছিলাম।
“এই সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পরেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থা পাকাপোক্তর কাজ শুরু করেছিল, আজকে সেটা তারা পাকাপোক্ত করে ফেলেছে। আমরা গণতান্ত্রিক লড়াই করছি, গণতান্ত্রিক একটা শক্তির পক্ষে যা করা দরকার তার চেয়ে আমরা বেশি করছি।”
গত আট বছরে সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতন, হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, গুম-খুনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এতো কিছুর পরেও আমরা গণতান্ত্রিক সংগ্রাম করছি, গণতন্ত্রকে ফিরে পাওয়ার জন্য আমাদের সংগ্রাম চলছে।”
সকাল সাড়ে ১০টায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ও বেলা ২টার দিকে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এ সময় দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, রুহুল কবির রিজভী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দস তালুকদার দুলু, নাজিম উদ্দিন আলম, মীর সরফত আলী সপু প্রমুখ দলীয় প্রধানের সঙ্গে ছিলেন।
এছাড়া বিএনপি সহযোগী সংগঠনের নেতারাও ছিলেন।