ভারতের সঙ্গে কোনো ধরনের প্রতিরক্ষা চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর দেশের জন্য বিপজ্জনক হবে বলে মনে করে বিএনপি।
Published : 17 Mar 2017, 06:07 PM
চুক্তির মাধ্যমে ভারত নিজেদের তৈরি সমরাস্ত্র বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করে এদেশকে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ‘এক্সটেনশনে’ পরিণত করতে চায় বলে অভিযোগ দলটির।
শুক্রবার রাজধানীর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, “ভারত প্রস্তাবিত ২৫ বছর মেয়াদি প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে তাদের মিলিটারি হার্ডওয়্যার অর্থাৎ সমরাস্ত্র বিক্রি করতে চায়। ভারতের কাছ থেকে সামরিক হার্ডওয়্যার আমদানি করলে আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হবে ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটা ‘এক্সটেনশন’ মাত্র।
“এই চুক্তিতে অস্ত্র কেনার শর্তে বাংলাদেশকে ভারত ৫০ কোটি মার্কিন ডলার লাইন অফ ক্রেডিট দেবে। ওই অর্থ দিয়েই ভারত থেকে অস্ত্র কিনতে হবে। এর অর্থ হচ্ছে, কৈ মাছের তেল দিয়ে কৈ ভাজার ভারতীয় চানক্যনীতি।”
এ ধরনের প্রতিরক্ষা চুক্তি হলে ‘বাংলাদেশের মানুষ তা রক্ত দিয়ে’ প্রতিহত করবে বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
আগামী ৭ এপ্রিল তিন দিনের সফরে দিল্লী যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সেখানে তার উপস্থিতিতে দুদেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, অতীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে গিয়ে ৫০টি চুক্তি করে এসেছেন, যার কোনোটিই জাতীয় সংসদে বা জনগণের সামনে প্রকাশ করেননি। ওই সব ‘গোপন’ চুক্তিতে কী লেখা আছে, দেশের মানুষ তা আজও জানে না।
ভারত নিজেই সামরিক সরঞ্জাম আমদানি করে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, সেক্ষেত্রে ভারত কী ধরনের সমরাস্ত্র বাংলাদেশে রপ্তানি করবে, সেটি এখন বড় প্রশ্ন।
“আসলে এর পেছনে যে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে, তা দেশের মানুষ ভালোভাবেই উপলব্ধি করছে। দেশের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তাকে ভারতের জিম্মায় সঁপে দিতে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী জবরদস্তিমূলকভাবে ক্ষমতা করতলগত করে রেখেছে।”
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় নেতা তৈমুর আলম খন্দকার, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, শাহিন শওকত ও মনির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।