তাঁতিদের নিয়ে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ তাঁতী লীগের সভাপতি হতে চাইছেন এশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান হারুন-উর রশীদ।
Published : 14 Mar 2017, 05:09 PM
এক যুগ পরে এই সংগঠনটির সম্মেলনের উদ্যোগ নেওয়ার পর হারুনের তৎপরতা বেড়ে যায়। নানা কর্মসূচিতে মুখ দেখানোর পর এবার তাঁতী লীগের নেতৃত্ব পেতে একটি প্যানেলও ঘোষণা করেছেন তিনি।
১৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় সম্মেলন ঘিরে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ প্যানেল ঘোষণা করা হয়। আওয়ামী লীগের কোনো সহযোগী সংগঠনকে এভাবে নেতৃত্বের জন্য প্যানেল ঘোষণা করতে দেখা যায়নি। কাউন্সিলেই নাম প্রস্তাব ও তাদের সমর্থনের মধ্য দিয়েই গঠিত হয় কমিটি।
আওয়ামী সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন ঘোষিত প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন।
তাঁতি লীগের আহ্বায়ক এনাজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এরকমভাবে প্যানেল ঘোষণার কোনো নজির আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনে নাই। তাঁতী লীগেও আমি দেখিনি।”
এভাবে প্যানেল ঘোষণার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন সাংবাদিকদের প্রশ্নে মোশাররফ বলেন, “নেতা-কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে আমরা আগে থেকে প্যানেল ঘোষণা করেছি।”
‘তাঁতী লীগ সমন্বয় পরিষদে’র ব্যানারে এই প্যানেল ঘোষণা করা হয়। এই সংবাদ সম্মেলনে তাঁতী লীগের কয়েকজন নেতা ছিলেন।
সভাপতি প্রার্থী হারুনের তাঁতী লীগের বর্তমান কমিটিতে কোনো পদ নেই। তিনি যে গ্রুপের চেয়ারম্যান, সেই গ্রুপে এশিয়ান টেক্সটাইল, এশিয়ান ফেব্রিক্স, এশিয়ান ইয়ার্ন ডাইংসহ ১১টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এশিয়ান টিভি হারুনের গ্রুপেরই টেলিভিশন স্টেশন, এশিয়ান রেডিও নামে বেতারও রয়েছে তার।
আওয়ামী লীগের পেশাভিত্তিক কয়েকটি সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্বে ওই পেশার বহির্ভূত ব্যক্তিরা রয়েছেন, যার সমালোচনা করছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও।
গত শনিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কৃষক লীগের এক সমাবেশে তিনি বলেছিলেন, “যারা তাঁতি নয়, তারা এখন তাঁতী লীগে, যারা কৃষক নয়, তারা এখন কৃষক লীগে, আর শ্রমিক নয় এমন অনেকেই শ্রমিক নেতা।”
হারুন ও মোশাররফ তাঁতী লীগের বতর্মান কমিটিতে না থাকলেও সংগঠনের সাধারণ সদস্য হিসেবে রয়েছেন বলে জানান আহ্বায়ক এনাজুর রহমান।
“তাদের দুজনকে আগে তাঁতী লীগের কোনো সভা-সমাবেশে দেখা যায়নি। ইদানীং দেখা যাচ্ছে,” বলেন তিনি।
১৯৬৫ সালে গঠনের পর থেকে তাঁতী লীগের সঙ্গে যুক্ত এনাজুর। তখন পূর্ব পাকিস্তান তাঁতী সমিতির নামে যাত্রা শুরু হয়েছিল, এরপর বাংলাদেশ তাঁতী সমিতি হয়ে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ তাঁতী লীগ নাম হয়।
২০০৪ সালের ৭ অগাস্ট ১৬ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর তার নেতৃত্বেই চলছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনটির কার্যক্রম।