হান্নান শাহর বাড়িতে খালেদা

ঢাকায় আ স ম হান্নান শাহের মরদেহ আসার পর তার বাড়িতে গিয়ে দলীয় নেতার পরিবারের সদস‌্যদের সান্ত্বনা জানিয়ে এসেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএসে হান্নান শাহর বাড়িতে যান খালেদা। তার আগে সন্ধ‌্যায় সিঙ্গাপুর থেকে মরদেহ পৌঁছায় ঢাকায়।

হান্নান শাহর বাড়িতে ঢুকে প্রথমে তার স্ত্রী নাহিদ হান্নানসহ সন্তানদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সান্ত্বনা দেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এরপর প্রয়াত নেতার কফিনের সামনে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, আফরোজা আব্বাস উপস্থিত ছিলেন।

সন্ধ‌্যার পর থেকে বিএনপি এবং তার জোট শরিক বিভিন্ন দলের নেতারা হান্নান শাহর কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানান।

সাবেক সেনাপ্রধান নুরুদ্দিন খান, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মজিবুর রহমান, কর্ম পরিষদের সদস্য আবদুল হালিম, সাম্যবাদী দলের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ, সাবেক ক ‍কূটনীতিক রাশেদ আহমেদ চৌধুরী, বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক, আবদুস সালাম, আবুল খায়ের বাবলু, নাজিম উদ্দিন আলম, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সেখানে ছিলেন।

মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের র‌্যাফেলস সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হান্নান শাহ মারা যান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্যের বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।

সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে হান্নান শাহ‘র মরদেহ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আসে। কফিন নিয়ে আসেন তার ছোট ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান ও মেয়ে শারমিন হান্নান সুমি।

বিমানবন্দরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আবদুল্লাহ আল নোমান, ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, প্রয়াত নেতার বড় ছেলে শাহ রেজাউল হান্নানসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার জানাজা ও শুক্রবার দাফন

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মহাখালী ডিওএইচএস জামে মসজিদ, সাড়ে ১১টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এবং জোহরের পর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে হান্নান শাহর জানাজা হবে।

ওই দিন হান্নান শাহের মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচের হিমঘরে রেখে শুক্রবার সকালে সড়ক পথে গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হবে। সকাল ৯টায় জয়দেবপুর রাজবাড়ী মাঠে, সাড়ে ১০টায় কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এবং জুমার পর তার গ্রাম চালা বাজার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে বাবার কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হবে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা হান্নান শাহ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে অবসরে যাওয়ার পর বিএনপিতে সক্রিয় হন। ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার সরকারে মন্ত্রী ছিলেন তিনি। গাজীপুর থেকে তিনি একাধিকবার সংসদ সদস‌্য নির্বাচিত হন।