সংখ্যালঘুদেরকে জোর করে হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তর করা নিয়ে ফের বিরোধী এমপি’দের বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে ভারতের পার্লামেন্ট।
Published : 22 Dec 2014, 08:35 PM
গত সপ্তাহের মত সোমবারও ধর্মান্তরকরণ নিয়ে পার্লামেন্টের দুই কক্ষে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার।
মুসলিম ও খ্রিস্টানদের জোর করে ধর্মান্তরকরণ থেকে কট্টরপন্থি হিন্দুদেরকে থামাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা।
ব্যাপক হইচই, স্লোগান এবং প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভের কারণে রাজ্যসভার অধিবেশন দুইবার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। লোকসভাতেও বিক্ষোভের ফলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অধিবেশন স্থগিত রাখতে হয়েছে।
অধিবেশনের শুরুতেই লোকসভায় স্লোগান দেন বিরোধীদলের এমপি’রা। সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে স্লোগান দেয় কংগ্রেস, তৃণমূলসহ বামেরাও। ধর্মান্তরকরণ নিয়ে বিতর্কের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে তারা।একই দাবি উঠেছে রাজ্যসভাতেও।
সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহে মোদীর ক্ষমতাসীন বিজেপি ঘেঁষা কট্টরপন্থি হিন্দুরা ভারতের বিভিন্ন স্থানে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে এবং তারা জোর করে লোকজনকে ধর্মান্তরকরণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ মাসের শুরুর দিকে আগ্রায় ৫০ টি মুসলিম পরিবারকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্মে দিক্ষীত করা হয়েছে। আর কেরালায় এ সপ্তাহ শেষে প্রায় ১শ’ খ্রিস্টানকে ধর্মান্তরকরণের খবর পাওয়া গেছে।
তবে কট্টরপন্থি হিন্দুরা জোর করে ধর্মান্তরকরণের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিজেপি সরকার বিষয়টি নিয়ে প্রবল সমালোচনা মুখে পড়লেও প্রভাবশালী হিন্দু দল আরএসএস প্রধান এর তোয়াক্কা না করে শক্তিশালী হিন্দু সমাজ গঠনের অঙ্গীকার করেছেন।
আরএসএস ও বজরং দলের মত অন্যান্য কট্টর হিন্দু দলগুলোর ভাষ্য, ভারতের মুসলমান ও খ্রিস্টানরা আদতে সবাই হিন্দুই ছিল। গত কয়েক শতাব্দীতে তারা ভিন্ন ভিন্ন ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে।
“পথ হারানো এসব মানুষকেই আবার আগের পথে ফিরিয়ে আনা হবে” বলে মন্তব্য করেন আরএসএস প্রধান।
সমালোচকরা বলছেন, মোদীর আমলে কট্টরপন্থি হিন্দুরা পেশীশক্তিতে বলীয়ান হয়ে ভারতের একতা এবং ধর্মনিরপেক্ষতা ক্ষুন্ন করছে।