শুধু কাপড়ের ধরন নয় পোশাকের রংয়ের উপরেও আরাম নির্ভর করে।
Published : 13 May 2015, 04:24 PM
কিছু রংয়ের তাপ শোষণ ক্ষমতা বেশি। সেসব রংয়ের পোশাক পরলে গরম বেশি লাগতে পারে। আবার যেসব রং তাপ শোষণ করে কম সেসব রংয়ের পোশাকে গরম কম লাগাই স্বাভাবিক।
এমনটাই জানালেন বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের ‘বস্ত্র পরিচ্ছদ ও বয়নশিল্প’ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ্মিনা রহমান।
তিনি বলেন, “শীতল রংয়ের পোশাক পরলে গরমে বেশ স্বস্তি পাওয়া যায়। শীতল রং সূর্যের তাপ কম শোষণ করে তাই গরম কম লাগে।”
গরমকালে পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে শাহ্মিনা রহমান সাদা রংই বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়াও হালকা যে কোনো রংয়ের পোশাকে গরম কম লাগে বলে জানান তিনি।
দিনের বেশিরভাগ সময় যাদের বাইরে থাকতে হয় তাদের জন্য হালকা নীল বা হালকা সবুজ রংয়ের পোশাক বেশ আরামদায়ক হবে। হালকা নীল রংয়ের পোশাক আরামদায়ক হয়, তাছাড়া এতে মনও ভালো থাকে। আর হালকা সবুজ রং মনে প্রশান্তি ও স্থিরতা আনে। এদুটি রং ব্যবহার করলে ক্লান্তি কম অনুভূত হয়, জানালেন এই অধ্যাপক।
সাদা রং সবসময়ই ঠাণ্ডা পরিবেশ সৃষ্টি করে। আর গরমে সাদা রংয়ের পোশাক নির্বাচন করাই সবচেয়ে ভালো বলে জানান শাহমিনা।
তবে দ্রুত ময়লা হয় বলে যারা সাদা রংয়ের পোশাক ব্যবহার করতে চান না তারা অফ-হোয়াইট, হালকা পেস্ট, হালকা গোলাপি ইত্যাদি রংয়ের পোশাক ব্যবহার করতে পারেন।
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদের মধ্যে কালো রং ব্যবহারের প্রতি বিশেষ ঝোঁক দেখা যায়। তাছাড়া কালো রংয়ে বেশি ফ্যাশনেবল ও আকর্ষণীয় লাগে বলে অনেক ছেলেমেয়ে গরমেও কালো রংয়ের পোশাক পরেন।
তবে কালো রংয়ের তাপ শোষণ ক্ষমতা বেশি। তাই এতে গরম বেশি অনুভূত হয়। গরমের সময় কালো রং ব্যবহার করার ফলে অনেক সময় ঘামাচি বা র্যাশ দেখা দেয়। তাই গ্রীষ্মকালে কালো রং ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন শাহ্মিনা রহমান।
এক্ষেত্রে তিনি লাল, ধূসর, কলাপাতা, কমলা ইত্যাদি যেকোনো রংয়ের টিন্ট বা ছোপছোপ এবং শেইড ব্যবহারের কথা বলেন।
কেউ চাইলে গ্রীষ্ম মৌসুমে রাতে গাঢ় রংয়ের পোশাক পরতে পারেন। এক্ষেত্রে বেগুনি, কমলা, নীল, লাল ইত্যাদি যেকোনো রংয়ের পোশাক বেছে নেওয়া যেতে পারে। তবে পোশাকটি যেন অবশ্যই সুতি বা লিনেনের হয় সেইদিকে লক্ষ রাখার পরামর্শ দেন শাহ্মিনা রহমান।
ছবি: আসাদুজ্জামান প্রামানিক।