ব্রাজিলের মানগিনুস এবং জাকারেজিন ফেভেলাস এলাকার বস্তিগুলো এখন ‘নেইমার’ হেয়ারকাটের জন্য পরিচিত। প্রায় ১৪ জন নাপিত সপ্তাহে ৭ দিনই গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত। বিশ্বকাপের মৌসুমে ভক্তরা মাথার পিছনে চুল কেটে নেইমারের চেহারা ‘স্কাল্পড’ করে নিচ্ছেন।
Published : 02 Jul 2014, 06:02 PM
ব্রাজিল দলের অন্যতম জনপ্রিয় খেলোয়াড় নেইমারের অবয়ব, ভক্তরা তাদের মাথায় চুল কেটে খুলিতে এঁকে নিচ্ছেন। আর এই ছবি তৈরি করতেই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ওই অঞ্চলের নরসুন্দররা।
ফুটবল জ্বরে ভুগছেন এমনর ভক্তদের মধ্যেই 'নেইমারম্যানিয়া' বেশি দেখা যাচ্ছে। আর এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমগুলো খবরও প্রকাশ করছে।
চুলকাটা দোকানের একজন নাপিত এনডিটিভিকে জানায়, প্রতিদিন চেয়ারপ্রতি ৯ ডলার ভাড়া দিতে হয় তাদের। আর প্রতিটি চেয়ারেই সারাদিনে গ্রাহকদের ভিড় লেগেই থাকে। শেইভ করা ও চুলকাটা ছাড়াও সেখানে বসে খেলাও দেখে থাকেন গ্রাহকরা।
মার্সেলো ফেরিরা নামের এই নাপিত জানান, নেইমার হেয়ারকাট ছাড়াও এই অঞ্চলে বিশ্বকাপ মৌসুমে নানান স্টাইলে চুল কাটার বেশ চাহিদা রয়েছে।
বর্তমানে ‘জাকা কাট’ নামের হেয়ারকাট বেশ জনপ্রিয়। প্রায় একদশক আগে জাকারা বস্তির আশপাশে এই হেয়ারকাটটি আবিষ্কৃত হয়। এ পদ্ধতিতে কান এবং ঘাড়ের কাছে চুল কেটে ছোট করে দেওয়া হয় এবং মাথার উপরের অংশে চুল বড় থাকে।
নরসুন্দররা বিভিন্ন আকারের রেজার দিয়ে মাথার পিছনে নেইমারের চেহারা এবং ব্রাজিলের ফ্ল্যাগ ফুটিয়ে তোলেন।
গিমারাইস বলেন, “প্রথম আমি যেদিন নেইমারের ছবি আঁকি সবাই আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে চাইছিলো।”
তিনি আরও বলেন, “আমি রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় সবাই আমাকে জিজ্ঞেস করছিলো আমি কোন সেলুন থেকে চুল কাটিয়েছিলাম। আমার কাছ থেকে অনেকেই ফোন নাম্বার নিয়েছিলো।”
উরি নাসিমেন্তো ১১ বছরের তরুণ। সেও এই বিশ্বকাপের মৌসুমে নেইমার হেয়ারকাট দিতে চাইছিলো। তবে তার মায়ের মাসিক বেতন একশ একানব্বই ডলার। তবে নাসিমেন্তো ছয় ডলার যোগাড় করে নেয় ‘ডেল্টা উইং’ হেয়ার কাটের জন্য।
ফেরিরা জানায়, নেইমার ছাড়াও মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো এমন আরো অনেক বিখ্যাত তারকার স্টাইলের চাহিদাও অনেক।