বনের পাখি রক্ষায় আলোকচিত্র প্রদর্শনী

‘বনের পাখি থাকুক বনে-নিরাপদে’ এই শ্লোগানে পাহাড়ের পাখি রক্ষায় পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির পর এবার রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘সেভ দ্য বার্ডস অব হিল’ শীর্ষক ছবি প্রদর্শনী।

দুই তরুণ ছবিয়াল সমির মল্লিক ও সবুজ চাকমার তোলা পাহাড়ের বিপন্ন কয়েক প্রজাতির পাখিসহ প্রায় ৪৫টির অধিক পাখির ছবি এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। পাহাড়ের হারিয়ে যাওয়া পাখি রক্ষা এবং পাখি শিকার বন্ধে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা।

হলদে পা হরিয়াল, ধুমকল, বাংলা বুলবুল, মেটে বুক প্রিনা, নীলগলা বসন্ত, তিলা নাগ ঈগল, সিট্রিন খঞ্জন, সিঁদুরে ফুলঝুরি, শামুকখোল, বন চড়ুইসহ নানান রংয়ে বনের পাখির ছবির এই প্রদর্শনী শেষ হবে আজ রাত আটটায়।

শুক্রবার বিকাল ৪টায় রাঙামাটি শহরের ‘গরবা রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড আর্ট গ্যালারি’তে এ ছবি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ। আরও অতিথি ছিলেন প্রকৃতি বিষয়ক তরুণ লেখক ও নিসর্গী মোকারম হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ বিশ্বাস, রাঙামাটির প্রবীণ সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সুনীল কান্তি দে, রাঙামাটি প্রেসক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, সাবেক সভাপতি এস এম শামসুল আলম, স্কাউট নেতা নুরুল আফসার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, “বন ধ্বংস ও শিকারিদের উৎখাতে হারিয়ে যাচ্ছে পাখিদের সংসার। ইতোমধ্যে অনেক পাখিই হারিয়ে গেছে। পাহাড়ের পাখি প্রদর্শনী নিয়ে এই আয়োজন পাখির প্রতি সচেতনতা সৃষ্টি হবে।”

ছবি প্রদর্শনী প্রসঙ্গে আলোকচিত্রী সমীর মল্লিক জানান, “সবুজ বনানী ও উপত্যকা ঘেরা অনিন্দ্য সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি পার্বত্য চট্টগ্রাম। নানান প্রজাতির পশু পাখির নিশ্চিন্ত আবাসভূমি ছিল পাহাড়। দিগন্ত ব্যাপী পাহাড়ের ভাঁজগুলো ও উচ্ছ্বসিত হতো পাখিদের কলতানে। যে সবুজ অরণ্য ছিল পাখিদের অভয়ারণ্য, আজ শিকারীদের দৌরাত্ম্যে হারিয়ে যাচ্ছে পাখিদের সংসার। পাহাড় উজাড় করে বিরানভূমি গড়ে উঠছে। ইতোমধ্যে বিলুপ্তির পথে বেশ কয়েক প্রজাতির পাখি। পার্বত্য চট্টগ্রাম হোক পাখির নিশ্চিন্ত আশ্রয় এমন চিন্তাভাবনা থেকে আমাদের এই আয়োজন।”

প্রর্দশনীতে ভীড় জমানো দর্শনার্থীরা প্রতিবছরই এ ধরণের উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। এই প্রদর্শনীতে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন জনপদ থেকে তোলা নানান রং-বর্ণের পাখির ছবি প্রদর্শন করা হয়েছে।