চুল শুকাবেন কীভাবে- বাতাস নাকি যন্ত্রে?

হেয়ারড্রায়ার ব্যবহার করা চুলের জন্য ক্ষতিকর- প্রচলিত এই পরামর্শের বিপরীত যুক্তিও আছে। বাতাসে প্রাকৃতিকভাবে ভেজা-কেশ শুকানোর অপেক্ষায় থাকলেও ক্ষতি হতে পারে।

হেয়ারড্রায়ার নাকি সাধারণভাবে চুল শুকানো ভালো? এই বিষয়ের উপর প্রকাশিত সাজসজ্জাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাতাসে চুল শুকাতে অনেকটা সময় লাগে। আর এই সময়টা চুলের গোড়া দীর্ঘ সময় ভেজা থাকার কারণে ‘কিউটিকল’ বা মাথার ত্বক ফুলে উঠে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে চুল ভেঙে যাওয়া ও ঝরে পড়ার সমস্যা দেখা দেয়।

তাহলে কী করবেন ভাবছেন! বরং জেনে নিন ভেজা-চুল শুকানোর সঠিক কৌশল।

তোয়ালের ব্যবহার: গোসলের পর প্রথমেই নরম তোয়ালে দিয়ে ভালোভাবে চুল শুকিয়ে নিন। তবে জোরে ঘষাঘষি করা হলে চুলের গোড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি। তোয়ালে দিয়ে ভালোভাবে চেপে চেপে চুল মুছে নিন।

ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকানোর আগে চেষ্টা করুন যেন তোয়ালে চুলের বেশিরভাগ পানি শুষে নেয়।

ভেজা চুল না আঁচড়ানো: ভেজা কিংবা আধা শুকনা চুল দুর্বল থাকে। এই সময় আঁচড়ানো হলে ক্ষতির মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

ভেজা চুলের মাঝামাঝি থেকে নিচের অংশে সিরাম লাগিয়ে আঙুলের সাহায্যে জট ছাড়িয়ে নিতে পারেন।

তাড়া থাকলে কম পাওয়ারে ‘ব্লো ড্রাই’ করে চুল শুকিয়ে তারপর আঁচড়ানো যেতে পারে।

ড্রায়ার ব্যবহারের উপায়: সরাসরি বেশি তাপে হেয়ারড্রায়ার ব্যবহার করা হলে চুল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চুলে ড্রায়ার ব্যবহারের সময় সবথেকে কম তাপমাত্রায় রেখে ব্যবহার করা উচিত। সময় নিয়ে চুল শুকানো, বেশি তাপে তাড়াহুড়া করা উচিত নয়।

চুল শুকানোর আগে তাপ থেকে চুলকে সুরক্ষিত রাখবে এমন সিরাম লাগিয়ে নেওয়া উচিত। তাছাড়া সুন্দর চুল চাইলে এর যত্নের পেছনে সময় দিন।

শুকানোর পরে স্টাইলিং: চুল ‘স্ট্রেইট’ বা ‘কার্ল’ করা কিংবা অন্য কোনো স্টাইল করতে হবে চুল পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়ার পর। কারণ ভেজা অবস্থায় ‍চুল দুর্বল থাকার কারণে স্টাইল করতে গেলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এছাড়া খেয়াল রাখতে হবে ‘স্টাইলিং টুলস’য়ের তাপমাত্রা কোনোভাবেই ২১০ ডিগ্রির বেশি না হয়। এবং আগে অবশ্যই ‘হিট প্রোটেকশন স্প্রে’ ব্যবহার করতে হবে।

ছবি: রয়টার্স।

সাজসজ্জা বিষয়ে আরও জানতে ক্লিক করুন।