সূর্যমুখী পাকন

মচেমচে মুখরোচক পিঠা।

ডিম পিঠা

রকমারি পিঠা

দুধ-কুলি বা পুলি পিঠা

চার রকম চিতই পিঠা

রেসিপি দিয়েছেন মুহসিনা তাবাসসুম

উপকরণ: মুগ ডাল এক কাপের চার ভাগের তিন ভাগ। মুসুরির ডাল - ১/৪ কাপ। চালের আটা পরিমাণ মতো। ডিম ১টি (মাঝারি)। লবণ, সামান্য। হলুদ, খুবই সামান্য (রংয়ের জন্য)

সিরার জন্য: চিনি, স্বাদ অনুযায়ী। পানি, পরিমাণ মতো। এলাচ ২,৩টি। সব একসঙ্গে জ্বাল দিন। সিরাটা পাতলাও হবে না আবার ঘনও হবে না। চালের অন্যান্য পিঠাতে সিরা যেভাবে করতে হয় সেভাবে করলেই হবে। হাল্কা মিষ্টি খেলে সিরা হালকা করে করলেও হবে। বেশি খেলে মধুর মতো ঘন করে নেবেন।

পদ্ধতি: ডাল ধুয়ে চালের আটা বাদে সব উপকরণ প্রেশার কুকারে দিয়ে দিন। পানি আঙুলের তিন দাগ পরিমাণে দিতে হবে। কয়েকটি শিটি দেওয়ার পরে ডাল সিদ্ধ হয়ে গলে গেলে চালের আটা দিয়ে দিন।

ডাল গলে না গেলে আরও কয়েকটি শিটি দিন।  ডো টা চালের আটার রুটির মতো হবে। বেশি নরম হবে না। জ্বাল অল্প আঁচে রেখে ভালো করে মিশিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। চার, পাঁচ মিনিট পরে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন।

খুব ভালো করে ময়ান দিন। সঙ্গে ডিম মিশিয়ে নিন। ডো বেশি নরম হলে ডিম ছোট আকারের নেবেন।

ভালো করে মেশানো হলে পিঁড়িতে মোটা করে রুটি বেলে নিন। এবার পছন্দ মতো আকারে কেটে খেজুরের কাটা, সুই বা কাঠি দিয়ে ভিতরে ফুল লতাপাতা এঁকে নিন। এবার এই ফুলপাতা খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে পাপড়ি তুলুন বা খুঁচিয়ে দিন।

এভাবে করলে ভালো ভাবে ভাজা হয় আর পিঠা মচমচা হয়।

এবার ডূবো তেলে মাঝারি আঁচে সোনালি রং করে ভেজে নিন। সিরা কুসুম গরম করে নিয়ে তাতে কয়েকটি পিঠা একসঙ্গে ছেড়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন।

তারপর একটি ছাঁকনির উপরে পিঠাগুলো তুলে রাখুন। এতে বাড়তি সিরা ঝরে যাবে।

এবার ঠাণ্ডা করে এয়ার টাইট বক্সে ভরে রেখে দিন। তাহলে বেশ কয়েক ঘণ্টা মচমচে থাকবে ।

টিপস: হলুদ দিতে না চাইলে, সামান্য হলুদ খাবার রং বা জাফরান দিতে পারেন।