প্রথমবারের মতো একক অ্যালবাম প্রকাশ করছেন সংগীত পরিচালক ইমন সাহা। ইতোমধ্যে সেই অ্যালবামের জন্য জোর প্রস্তুতিও শুরু করেছেন তিনি।
Published : 01 Sep 2014, 04:26 PM
ইমন গ্লিটজকে বলেন, “একক অ্যালবাম প্রকাশের ইচ্ছা থাকলেও নানা ব্যস্ততায় তা করা হয়ে উঠেনি। এ অ্যালবামের পরিকল্পনা করেছিলাম ২০১০ সাল থেকে। গানের কথা, সুর নিয়ে নানা চিন্তা-ভাবনা, সুরের ধরন নিয়ে নানা গবেষণার পাশাপাশি সহশিল্পীদের নিয়েও ভাবতে হয়েছে আমাকে।”
এখনও নাম চূড়ান্ত না হওয়া অ্যালবামে আটটি ভিন্ন স্বাদের গান থাকবে বলে জানান তিনি।
ইতোমধ্যে শিক্ষকদের উৎসর্গ করে ‘থ্যাঙ্ক ইউ টিচার’ নামে একটি কোরাস গান রেকর্ড করেছেন তিনি। গানটিতে ইমনের সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন কণা, কিশোর, সজল ও কোনাল। এ গানটির মিউজিক ভিডিওর নির্দেশনা দিচ্ছেন চলচ্চিত্র পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন জেমি।
ইমন জানান, বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন চ্যানেলে গানটি প্রচারিত হবে।
এ মুহূর্তে চলচ্চিত্র ও আবহ সংগীতের কাজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় কাটছে তার। এখন রওশন আরা নীপার ‘মহুয়া সুন্দরী’, অরুপ রতন চৌধুরীর ‘স্বর্গ থেকে নরক’, এস এ হক অলিকের ‘এক পৃথিবী প্রেম’, অনিমেষ আইচের ‘জিরো ডিগ্রী’, দেবাশীস বিশ্বাসের ‘মন জ্বলে’, বাপ্পারাজের ‘কার্তুজ’, ইফতেখার চৌধুরীর ‘অগ্নি ২’ সিনেমার সংগীতায়োজন নিয়ে ব্যস্ত তিনি।
চলচ্চিত্রের ব্যস্ততার কারণে টিভিনাটকের আবহ সংগীতের কাজটিও নিয়মিত করা হচ্ছে না তার।
বাংলা চলচ্চিত্রের গানগুলো শ্রোতাদের হৃদয় ছুঁতে পারছে না- এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ইমন বলেন,“শত প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলা চলচ্চিত্রে ভালো কাজ হচ্ছে। অত্যানুধিক প্রযুক্তি আমাদের নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাংলা সিনেমার গানগুলো কিন্তু জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। যারা অভিযোগ করছেন, তারা ভুল ভাবছেন।”
১৯৯৮ সালে গাজী মাজহারুল আনোয়ার পরিচালিত ‘পরাধীন’ সিনেমায় ‘দেরে দেরে প্রেম দেরে’ গানের সংগীত পরিচালনার মাধ্যমে অভিষেক ঘটে তার। ২০০৮ সালে ‘চন্দ্রকথা’, ২০১১ সালে ‘কুসুম কুসুম প্রেম’ ২০১২ সালে ‘পিতা’, ও ‘ঘেটু পুত্র কমলা’ সিনেমার জন্য সুরকার ও শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।