ঢালিউডের অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমা ‘আম্মাজান’ এ বাদশাহ চরিত্রে চিত্রনায়ক মান্নার জায়গায় অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি ও রুবেলের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অমি বনি কথাচিত্রের কর্ণধার মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
Published : 12 Jul 2021, 01:27 PM
১৯৯৯ সালের ২৫ জুন মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি ব্যবসা সফল হওয়ার পাশাপাশি পরিচালক কাজী হায়াৎ পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। পরিচালনার পাশাপাশি চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন তিনি। অভিনেত্রী শবনমের ছেলে বাদশাহ চরিত্রে সেখানে দেখা গিয়েছিল মান্নাকে।
কাজী হায়াৎ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর মান্নাকেই নিতে চেয়েছিলেন তিনি; তবে মান্নার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরে একবাক্যে তা নাকচ করে দিয়েছিলেন প্রযোজক ডিপজল।
বাদশাহ চরিত্রের জন্য অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি ও রুবেলকে ভেবেছিলেন প্রযোজক ডিপজল। তবে পরে তার সিদ্ধান্ত বদলায়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ডিপজল বলেন, “ফরীদি ও রুবেলের সঙ্গে ছবিটি নিয়ে আলোচনাও এগিয়েছিল খানিকটা। তাদের সঙ্গে আলোচনার মধ্যে মান্নাকে নেওয়া হয়।”
নব্বইয়ের দশকে ডিপজল ও মান্নার বন্ধুত্বের খবর এখনও এফডিসিতে আলোচিত; সেই বন্ধুত্বে কীভাবে চিড় ধরল তা নিশ্চিত জানা না গেলেও তাদের দুজনের দূরত্ব ঘোচাতে কাজী হায়াতের দূতিয়ালির কথা সামনে এসেছে।
“পরদিনই ডিপজল আমাকে বললেন, ‘মান্না ডেট দিয়ে গেছে। ওকে নিয়েই ছবিটা করেন’।”
প্রযোজনার পাশাপাশি সেই সিনেমায় মান্নার বন্ধু কালামের চরিত্রে অভিনয় করেন ডিপজল।
সিনেমার শুটিং শুরুর কিছুদিন পর ডিপজল-মান্নার সম্পর্কের সুতোয় আবার টান পড়লে ‘আম্মাজান-এর কাজ আটকে থাকে প্রায় দুই বছর। মিটমাটের পর শুটিংয়ে ফিরেছিলেন মান্না।
সিনেমা মুক্তির পর মান্নার অভিনয় দর্শকমহলে প্রশংসিত হয়; তার ক্যারিয়ারের সেরা চলচ্চিত্রের মধ্যে জায়গা করে নেয় এ ছবি। আম্মাজান মুক্তি পাওয়ার নয় বছর পর ২০০৮ সালে মারা যান মান্না।
সেই সিনেমায় তার লিপ সিংয়ে প্রয়াত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া ‘আম্মাজান’ গানটি এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে।
শবনম, মান্না ও ডিপজল ছাড়াও অভিনয় করেছেন মৌসুমী, আমিন খান, মিজু আহমেদসহ আরও অনেকে।