রিকশা চালাতে হলো না আর পুনমকে, চাকরি পেলেন স্বপ্নে।
Published : 05 Jul 2020, 12:44 PM
করেনাভাইরাসের এই সময়ে যখন চারপাশ জর্জরিত তখন একটি ভালো খবরে সকলে ফেলছেন স্বস্তির নিঃশ্বাস।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে স্টার সার্চ প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ স্থান অর্জন করা ব্যান্ডের কিবোর্ডিস্ট পুনমকে দেখা যায় রিকশা চালাতে। এরপরেই তার খোঁজ নেওয়া শুরু করে নানাজনে। চেষ্টা করে সহায়তা করার।
এরপরেই স্বপ্ন তথা এসিআইতে নতুন করে কাজের সুযোগ পান পুনম।
বগুড়ার ছেলে এহসানুর রশীদ পুনম। মিউজিক করার পাশাপাশি চাকরিও করতেন। সবকিছু মিলে বেশ ভালোই চলছিল তার দিনকাল। তবে মাঝে জীবন যুদ্ধে হেরে গিয়ে ঢাকায় রিক্সা চালানো শুরু করেন তিনি।
এই পুনমকে আবিষ্কারের কাজটি প্রথমে করেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিউজজি’র ভিডিও টিমের সদস্য রুম্মান আবদুল্লাহ। তিনি কিছু দিন আগে নিজের বাসা থেকে বের হয়ে স্বাভাবিকভাবেই রিকশা খুঁজছিলেন। এরপর তার রিক্সায় ওঠার পর কথায় কথায় জানতে পারেন পুনমের এক অবিশ্বাস্য গল্প। পুনমের জন্ম রাজশাহীতে। ২০০০ সাল পরবর্তী সময়ে ব্যস্ত ছিলেন মিউজিক নিয়ে। পাশাপাশি সম্পন্ন করেছেন গ্র্যাজুয়েশন। চাকরিও করেছেন একাধিক কোম্পানিতে।
আর সেই সঙ্গে পৃথিবীতে আগমন ঘটেছে নতুন এক মহামারির। যার নাম করোনাভাইরাস। তাই নতুন চাকরিও জোটেনি তখন পর্যন্ত পুনমের ভাগ্যে। তাই বাধ্য হয়ে রিক্সা চালানো শুরু করেন পুনম। এরইমধ্যে তাকে নিয়ে করা নিউজটি চোখে পড়ে স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসিরের। এরপর স্বপ্ন’র পক্ষ থেকে যোগাযোগ করার পর স্বপ্ন কার্যালয়ে শুক্রবার বিকেলে হাজির হন পুনম। স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির এবং অপারেশনস ডিরেক্টর আবু নাছের অনলাইনে এহসানুর রশীদ পুনমের সঙ্গে কথা বলার পর মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান শাহ মো. রিজভী রনী এবং মিডিয়া অ্যান্ড পিআর ম্যানেজার কামরুজ্জামান মিলু সেদিনই তার হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন।
কোম্পানীর ইনভেন্টরি অ্যান্ড ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট অফিসার পদে চাকরি পান পুনম। স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, “অনলাইনে ভিডিও প্রতিবেদনটা দেখেই মনে হচ্ছিল যে, উনার জন্য কিছু করতে পারলে ভালো লাগত। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই এই মানুষটির জন্য কিছু একটা করার চেষ্টা করলাম আমরা। তার জন্য এটুকু করতে পেরে বেশ ভালো লাগছে।ঃ
‘স্বপ্ন’ প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাবার পর পুনম বলেন, “এমন দুঃসময়ে চাকরি পাবো, এটা ভাবতেও পারিনি। আমাকে যে সম্মান আজ স্বপ্ন দিলো সেটা সততার সঙ্গে রক্ষা করতে চাই আমি। নতুন পদে নতুন চাকরিটা ভালোভাবে করতে চাই। যে সম্মানটা উনারা দিলেন সেটা রক্ষা করার দায়িত্ব এখন আমার।”
স্বপ্নের আউটলেটে ব্যান্ড সংগীত চলতে থাকে অবিরাম। ক্রেতারাও উপভোগ করেন স্বর্ণালি দিনের গান শুনে কেনাকাটা করে। এবারও সাবেক এই ব্যান্ড সদস্যকে সহায়তা করায় সামাজিক মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বপ্নের অসংখ্য নিয়মিত গ্রাহক।