শ্লীলতাহানির মামলায় পপ তারকা টেইলর সুইফ্টের অভিযোগের বিরুদ্ধে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন মার্কিন রেডিও জকি ডেভিড মুলার।
Published : 12 Aug 2017, 09:40 PM
আদালতে চলছে পঞ্চাশোর্ধ রেডিও উপস্থাপক ডেভিড মুলারের বিরুদ্ধে পপ গায়িকা টেইলর সুইফ্ট’য়ের আনা শ্লীলতাহানির মামলার শুনানি। ২০১৩ সালে সুইফ্টের এক কনসার্টে প্রেমিকাসহ তার সঙ্গে ছবি তুলতে দাঁড়ান মুলার। সে সময় আপত্তিকরভাবে এ সংগীত তারকার পশ্চাৎদেশ খামচে ধরেন বলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
দ্য গার্ডিয়ান জানায়, শ্লীলতাহানির মামলায় সুইফ্টের অভিযোগের বিরুদ্ধে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেননি মুলার। সুইফ্টের আইনজীবীর জেরার মুখে মুলার বলেনে, “হয়ত আমি তার (টেইলর সুইফ্ট) পশ্চাৎদেশের হাড় কিংবা ওরকম কোনো স্থানে স্পর্শ করে থাকতে পারি।”
তবে সুইফ্টের দাবি আরও গুরুতর।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ‘শেইক ইট অফ’ তারকা বলেন, “কনসার্ট শুরুর আগে মুলার ও তার প্রেমিকা আমার সঙ্গে ছবি তুলতে দাঁড়ায়। সেসময় আমার স্কার্টের ভিতর হাত ঢুকিয়ে পশ্চাৎদেশ খামচে ধরেছিলো সে এবং বেশ জোরেই ধরেছিলো।”
সুইফ্টের এ বক্তব্যের সত্যতা মেলে কর্তব্যরত এক নিরাপত্তারক্ষীর বর্ণনাতেও। তিনি মুলারকে সুইফ্টের স্কার্ট থেকে হাত সরিয়ে নিতে দেখেছেন বলে জানান।
ঘটনার সময় বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে চুপ করে ছিলেন বলেও জানান এ সংগীতশিল্পী।
গণমাধ্যমে এ সংবাদ প্রকাশের পর সুইফ্টের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন মুলার। এমনকি তার চাকরি খোয়ানোর জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে এটি করেছেন করে দাবি করেন তিনি। সুইফ্টের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের ক্ষতিপূরণ মামলাও করেন তিনি।
এর জবাবে ২০১৫ সালে মুলারের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে মামলা করেন সুইফ্ট। এ সময় নারীদের প্রতি যৌন হয়রানি বন্ধে নামমাত্র ১ ডলার ক্ষতিপূরণেরও দাবি করেন এ তারকা।
দুই সপ্তাহের মধ্যেই মামলার চূড়ান্ত রায় দেওয়া হবে জানিয়েছে রয়টার্স।