সন্তান তৈমুর আলি খান বড় হয়ে কোন ধর্ম গ্রহণ করবে, এটা পুরোপুরি তার উপরই ছেড়ে দিতে চান তার বাবা সাইফ আলি খান।
Published : 19 Apr 2017, 10:16 PM
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর সঙ্গে আলাপকালে সাইফ বলেন, “আমার স্ত্রী এবং আমি চেষ্টা করবো আমার সন্তান যেন দেশের এজন সুনাগরিক হিসেবে বড় হয়। সে অবশ্যই বড় হয়ে নিজের ধর্ম নিজে ঠিক করার স্বাধীনতা পাবে। আমি চাই যে আমাদের মতোই খোলা মনের, উদার এবং মাটির মানুষ হোক।”
সাইফ আলি খান নিজে মুসলিম হয়েও বিয়ে করেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী অমৃতা সিং এবং কারিনা কাপুরকে। সাইফ-এর বাবা মনসুর আলি খান পতৌদিও বিয়ে করেছিলেন ঠাকুরবাড়ির কন্যা শর্মিলা ঠাকুরকে। বোন সোহা আলি খানও কিছুদিন আগে মালাবদল করেছেন ভিন্ন ধর্মের কুনাল খেমুকে।
কয়েক প্রজন্ম ধরেই ভিন্ন ধর্মের মানুষদের মধ্যে বিয়ের ইতিহাস দেখা গেছে পতৌদি পরিবারে। আর তাই ধর্মের ব্যাপারে সহিষ্ণুতার দিক থেকেও খ্যাতি আছে পরিবারটির। পারিবারিক বন্ধনও দৃঢ় পতৌদিদের মধ্যে।
বাবা টাইগার পতৌদি’র সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা মনে করে সাইফ আলি খান সন্তানের সঙ্গেও একইরকম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “আমি তৈমুরের বন্ধু এবং পথপ্রদর্শক হতে চাই। আমি ওকে খুবই ভালোবাসি। মা’র তুলনায় বাবার সন্তানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে একটু সময় লাগে, কারণ মায়েরা তো সন্তানদের গর্ভে ধারণ করে। তবে আমার সব সন্তানদের ক্ষেত্রে আমি তাদের পাশে সবসময় থাকতে চাই।
এখন আমি ওর ডায়পার বদলাচ্ছি কিনা, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তৈমুর-এর বয়স যখন ১৬ কিংবা ৩০ হবে, ওই সময়টাতে আমি যদি বেঁচে থাকি, তাহলে আমি তার পাশে থাকতে চাই, যেমনটি আমার বাবা আমার পাশে সবসময় ছিলেন। তিনি কখনও আমাদের ডায়পার বদলাননি, কিন্তু যখনই প্রযোজন হয়েছে, তখনই আমরা তাকে পাশে পেয়েছি। একারণেই আমি তাকে বিশ্বের সবচেয়ে সেরা বাবা বলি।”
২০১৬’র ডিসেম্বরে কারিনা কাপুর জন্ম দেন সাইফ আলি খান-এর সঙ্গে তার প্রথম সন্তান তৈমুর আলি খান-এর। তখন থেকেই ভারতীয় গণমাধ্যমের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় নবাব পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ এই সদস্য।