একসময় তিনি ছিলেন খ্যাতির শীর্ষে; এক ‘পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ানস’ সিরিজ দিয়েই কোটি কোটি ডলারের ব্যবসা এনে দিয়েছেন প্রযোজকদের। এখন নতুন তারকাদের ভিড়ে জনি ডেপ-এর বাজার হয়তো পড়তির দিকেই; সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া তিন সিনেমাই বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। আর তাই, টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফোর্বস ম্যাগাজিন-এর বাড়তি আয়ের তারকাদের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন এই মার্কিন অভিনেতা।
Published : 09 Dec 2016, 08:49 PM
২০১৫ সালের জুন মাস থেকে ২০১৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত জনি ডেপ অভিনীত সিনেমা মুক্তি পেয়েছে তিনটি- ‘ট্রান্সেন্ডেন্স’, ‘মর্টডেকাই’ আর ‘অ্যালিস থ্রু দ্য লুকিং গ্লাস’। এই তিন সিনেমার জন্য জনি যে পারিশ্রমিক নিয়েছেন, তার প্রতি এক ডলারের বিপরীতে তিনি ফিরিয়ে দিতে পেরেছেন মোটে দুই ডলার আশি সেন্ট!
ফোর্বস যখন এই তালিকাটি তৈরি করছিল, তখন জনি ফেঁসে গিয়েছিলেন সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের করা শারিরীক নির্যাতনের মামলাতে। সেই মামলার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৭০ লাখ ডলারও গুণতে হয়েছে তাকে। কিন্তু পারিবারিক এসব বিবাদের কারণে নয়, জনিকে খরুচে তারকা বলা হচ্ছে তার কারণ, এর আগেই মুক্তি পাওয়া ১৯ কোটি ডলার বাজেটের ‘অ্যালিস থ্রু দ্য লুকিং গ্লাস’ বক্স অফিসে লাভ করেছিলো মোটে ১০ কোটি ডলার। অর্থাৎ, জনিকে সিনেমায় নিয়ে লাভের চেয়ে ক্ষতির মুখেই বেশি পড়তে হয়েছে প্রযোজকদের।
এই তালিকার দুই নম্বরে আছেন উইল স্মিথ। ‘মেন ইন ব্ল্যাক’ খ্যাত এই তারকার দুটি সিনেমা , ‘ফোকাস’ এবং ‘কনকাশন’ মুক্তি পেয়েছে এই বছর। এরমধ্যে ৩ কোটি ৪ লাখ ডলারে নির্মীত ‘ফোকাস’ সিনেমাটি বক্স অফিসের আলো নিজের করে নিতে পারেনি খুব একটা। নিজের পারিশ্রমিকের প্রতি ডলারের বিপরীতে ৫ ডলার প্রযোজকদের ফেরাতে পেরেছেন তিনি।
প্রায় একই অবস্থা চ্যানিং টটাম-এরও। ‘ম্যাজিক মাইক এক্সএক্সএল’ খ্যাত এই তারকার একই সিনেমা মুক্তি পেয়েছে এরমধ্যে; মিলা কিউনিস-এর বিপরীতে ‘জুপিটার অ্যাসেন্ডিং’ নামের সেই সিনেমার বাজে ছিল ১৭ কোটি ডলারেরও বেশি। অথচ’ আয় করতে পেরেছে মোটে ৮০ লাখ ডলার। নিজের পারিশ্রমিকের প্রতি ডলারের বিপরীতে গত বছর প্রযোজকদের তিনি ফেরাতে পেরেছেন মাত্র ৬ ডলার করে।
সেরা পাঁচে আছেন জর্জ ক্লুনিও; ১৯ কোটি ডলার বাজেটের ‘টুমরোল্যান্ড’ বক্স অফিস থেকে কোনোমতে তুলে এনেছে মূলধন। প্রযোজকদের খরচের প্রতি ডলারের বিপরীতে তিনি ফিরিয়েছেন ৬ ডলার সাত সেন্ট করে।
ফোর্বস প্রতিবছর এই তালিকাটি প্রকাশ করে ঐ বছরে তারকাদের মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার আয় এবং তার বিপরীতে তাদের পারিশ্রমিকের তুলনামূলক গড়ের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রকাশ করে। এই তালিকায় টানা দুই বছর শীর্ষে থেকে বাজারে নিজের নড়বড়ে অবস্থার কথাই জানান দিচ্ছেন ডেপ।
ডেপভক্তদের অবশ্য নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। ২০১৭ সালেই মুক্তি পাবে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ব্যাবসাসফল ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান’-এর ষষ্ঠ কিস্তি ‘ডেড মেন টেলস নো টেইলস’। আগের পাঁচ সিনেমা দিয়ে এরইমধ্যে ৩৭০০ কোটি ডলার আয় করে ফেলা এরই সিরিজের নতুন সংযোজনটিও বড় হিট হবে বলেই আশা করছেন সবাই। আর এই সিনেমা দিয়েই ফ্লপের ধারা ঘোঁচাবেন জনি ডেপ- এম আশাতেই বুক বাঁধছেন নির্মাতারা।