বিশ্ব অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও ঝুঁকি মোকাবেলার কৌশল নির্ধারণে ঢাকায় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স-বাংলাদেশ (আইসিসিবি)।
Published : 22 Oct 2014, 07:21 PM
আগামী ২৫ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুদিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বুধবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে আইসিসিবির সভাপতি মাহবুবুর রহমান জানান, বাংলাদেশে সংগঠনটির কার্যক্রমের ২০ বছর পূর্তিতে ‘গ্লোবাল ইকোনোমিক রিকাভারি: এশিয়ান পারসপেক্টিভ’ শীর্ষক এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
মতিঝিলে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সম্মেলনের প্রধান সমন্বয়ক ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম, আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশের (অ্যামচেম) সভাপতি আফতাব উল ইসলাম ও আইসিসিবির বোর্ড সদস্য রাশেদ মাকসুদ খান।
মাহবুবুর রহমান বলেন, “গত দুই বছর ধরে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা গেছে। এতে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এশিয়ার দেশগুলো তেমন ক্ষতির মুখে পড়েনি। এর মধ্যে বাংলাদেশ আরো ভালো অবস্থানে রয়েছে। এর অন্যতম কারণ বাংলাদেশ কম দামের পণ্য রপ্তানি করে।
“তবে এই অবস্থা এখন পাল্টাচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতে আগামীতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বৈশ্বিক ঝুঁকি মোকাবেলায় কি করণীয় আমরা এই সম্মেলনের মাধ্যমে তা বের করার চেষ্টা করবো।”
সম্মেলন থেকে যে সুপারিশ আসবে তা নীতি হিসেবে বাস্তবায়নের জন্য আইসিসি’র পক্ষ থেকে সরকারের কাছে তুলে ধরা হবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই দিনে চার পর্বে সম্মেলনটি শেষ হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছাড়া সবগুলো পর্বই সোনারগাঁও হোটেলে হবে।
উদ্বোধনী পর্বে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থার (আঙ্কটাড) মহাপরিচালক মুখিসা কিতুয়ি উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়াও আইসিসির ভাইস চেয়ারম্যান সুনীল ভারতী মিত্তাল, সংগঠনের গবেষণা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ফাং গ্রুপের চেয়ারম্যান ভিক্টর কে ফাং, মহাসচিব জন ডানিলোভিচ, চৌধুরী গ্রুপের চেয়ারম্যান বিনোদ কে চৌধুরী এবং বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী, শিল্পোদ্যোক্তা, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা, অর্থনীতিবিদ ও গবেষকরা বক্তব্য রাখবেন।
আইসিসি ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে পাঁচটি ব্যবসায়ী সংগঠন, দুটি সমিতি ও ২১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ এর মোট সদস্য সংখ্যা ১৩৯।