করোনাভাইরাস মহামারীকালে অর্থনীতি চাপে থাকার মধ্যে আসন্ন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার খবরে উদ্বেগ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
Published : 09 Jun 2020, 06:52 PM
সংসদে বাজেট উপস্থাপনের দুদিন আগে এক বিবৃতিতে সংস্থাটি সরকারের উদ্দেশে বলেছে, এ জাতীয় পদক্ষেপ হবে ‘দুর্নীতি সহায়ক ও স্ববিরোধী কাজ’।
আবাসন খাতে ফ্ল্যাট কেনার পাশাপাশি এবার জমি কেনা ও উন্নয়ন এবং শেয়ার বাজারের বিনিয়োগেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার খবর বেরিয়েছে গণমাধ্যমে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “আসন্ন বাজেটে বড় পরিসরে আবারও কালো টাকা সাদা করার সুযোগই কেবল দেওয়া হচ্ছে না, বরং অর্থের উৎস নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রশ্ন করার বিধানটিও উঠিয়ে দিতে যাচ্ছে বলে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
“দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ‘শূন্য সহনশীলতার’ ঘোষণা আর দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদকে বৈধতা দেওয়া শুধু পরস্পরবিরোধী নয়, বরং সরাসরি দুর্নীতি সহায়ক, অনৈতিক, অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক।”
“অথচ অনৈতিকতা প্রশ্রয় পেয়েছে আর সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদের পরিপন্থি এই ব্যবস্থা সৎপথে উপার্জনকারী নাগরিকের প্রতি বৈষম্যমূলক, এমন বাস্তবতায় সরকারকে এই আত্মঘাতী পদক্ষেপ থেকে সরে আসার আহবান জানাচ্ছি।”
পাশাপাশি বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া ‘লক্ষাধিক কোটি টাকা’ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
কোভিড-১৯ মহামারীতে দেশের ‘স্বাস্থ্যখাতের দুর্বল অবস্থা’ ফুটে উঠেছে মন্তব্য করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, স্বাস্থ্য খাতের এমন ভঙ্গুর পরিস্থিতি একদিনে তৈরি হয়নি।
“বছরের পর বছর স্বাস্থ্য খাতে অপর্যাপ্ত অর্থায়ন (যা বিব্রতকরভাবে জিডিপির এক শতাংশেরও কম), বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে সমন্বিত কৌশলের অভাব আর এ খাতে ক্রমবর্ধমান লাগামহীন দুর্নীতি এহেন বিপর্যয় নিয়ে এসেছে।”
স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং করোনাভাইরাস সঙ্কটের প্রভাবে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাওয়া মানুষের জন্য কর্মসংস্থান ও সামাজিক সুরক্ষার আওতা বাড়ানোর দাবি জানায় টিআইবি।