ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চ মাসে দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতি আরও কিছুটা বেড়েছে। আর আগের মতো এবারও খাদ্যপণ্যের দাম বাড়াকে এর কারণ হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ।
Published : 09 Apr 2019, 05:10 PM
পরিসংখ্যান ব্যুরোর হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, মার্চে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ।
তবে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে বা আগের বছরের মার্চ মাসের তুলনায় এবার মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। গত বছর মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের কাছে এসব তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “মার্চ মাসে ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় মূল্যস্ফীতি সামান্য বাড়লেও গত বছরের একই মাসের তুলনায় কমেছে। তবে এটাকে স্থিতিশীল বলা যায়।”
মূল্যস্ফীতি বাড়ার কারণ জানতে চাইলে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিবিএস মহাপরিচালক কৃঞ্চা গায়েন বলেন, “মূলত শাক-সবজী এবং বিশেষ করে মুরগির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে।”
বিবিএস প্রতিবেদনে দেখা যায়, গেল মার্চ মাসে দেশে খাদ্য উপখাতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
তবে মার্চ মাসে খাদ্য বহির্ভূত উপখাতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি আগের মাসের তুলনায় কিছুটা কমে হয়েছে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ।
মার্চ মাসে গ্রামাঞ্চলেও সাধারণ মূল্যস্ফীতি কিছু বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।
শহর এলাকায় মার্চে সাধারণ মূল্যস্ফতি সামান্য বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ফেব্রুয়ারি মাসে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্চ মাসে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে জাতীয় মজুরি হার কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ফেব্রুয়ারি মাসে এ হার ছিল ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ।